আন্তর্জাতিক

আবারও ১৫ বছরে পাঁচ সংঘাত ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে শনিবার সকালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ব্যাপক রকেট হামলায় চালিয়েছে ইসরায়েলে। এই ঘটনার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে।

হামাসের আকস্মিক হামলার জেরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েল ‘যুদ্ধরত’।একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

অবশ্য এই বিবৃতির আগে শনিবার সম্পূর্ণ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেছে গাজা উপত্যকা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে। মিসরের পাশাপাশি নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল।

এলাকাটির সম্পূর্ণ আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। সীমান্ত দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কী কী পণ্য প্রবেশ করবে, সেটাও নিয়ন্ত্রণ করে তারা।

জানা গেছে, চাপের মুখে ২০০৫ সালে উপকূলীয় গাজা উপত্যকা থেকে সেনা ও বসতি প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে গত ১৫ বছরে গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পাঁচবার সংঘাতে জড়িয়েছে দেশটির বাহিনী।

অপারেশন কাস্ট লেড

২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইসরায়েলে রকেট হামলা বন্ধে গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা অপারেশন ‘কাস্ট লেড’ নামে পরিচিত। পরের বছর ১৪ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি হয়। এ যুদ্ধে এক হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি ও ১৩ জন ইসরায়েলি নিহত হয়।

অপারেশন পিলার অব ডিফেন্স

২০১২ সালের ১৪ নভেম্বর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অপারেশন পিলার অব ডিফেন্স পরিচালনা করে। অভিযানে হামাসের শীর্ষ কমান্ডার আহমেদ জাবারি নিহত হন। গাজা থেকে রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েল শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। আট দিনের এ লড়াইয়ে ১৭৭ জন ফিলিস্তিনি ও ছয়জন ইসরায়েলি নিহত হয়।

অপারেশন প্রটেকটিভ এজ

২০১৪ সালের ৮ জুলাই অপারেশন প্রটেকটিভ এজ নামে গাজায় আরেকটি অভিযান চালায় ইসরায়েল। সমুদ্র ও আকাশ পথে এ অভিযান চালানো হয়। সাত সপ্তাহব্যাপী চলা এ যুদ্ধে দুই হাজার ২৫১ জন ফিলিস্তিনি ও ৬৮ সেনাসহ ৭৪ জন ইসরায়েলি এ যুদ্ধে নিহত হয়।

১১ দিনের যুদ্ধ

হামাসের রকেট হামলার জবাবে ২০২১ সালের মে মাসে গাজায় ব্যাপক বিমান ও গোলা হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৬৬ শিশুসহ অন্তত ২৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অন্যদিকে ইসরায়েলি পক্ষে নিহত হয় এক সেনাসহ ১৩ জন।

ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে সংঘাত

গাজার আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সঙ্গে চলতি বছরের মে মাসে সংঘর্ষে জড়ায় ইসরায়েল। পাঁচ দিনের এ সংঘর্ষে গোষ্ঠীটির ছয়জন শীর্ষ নেতাসহ গাজায় ৩৩ জন এবং দুজন ইসরায়েলি নিহত হয়। পরে মিসরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: