8 October 2023 , 2:53:26 প্রিন্ট সংস্করণ
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আমগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ও খাজুরা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম নলডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া ওই ইউপি সদস্য মন্টুর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ এনে ইউএনওসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
আমজাদ হোসেন মন্টু উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওর্য়াড সদস্য ও খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে উপজেলার দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক আমগাছ খাজুরা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর নির্দেশে কয়েকজন যুবক কেটে ফেলে। পরে ভ্যানযোগে কেটে ফেলা গাছগুলো করাতকলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী গাছ নিয়ে যেতে বাধা দেয় এবং বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে দুর্ভলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম ওই রাতেই ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টু ও দুই সহযোগী আনোয়ার এবং শামীম জোর করে বিদ্যালয়ের আমগাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
একই অভিযোগ তুলে স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন মন্টু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে চলাচলের জন্য সড়ক রয়েছে। এই সড়কে একটি আমগাছ থাকায় আমাদের ২ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দারা ভ্যান, অটোরিকশা নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা পড়তে হয়।
এ জন্য কয়েকজন অটোচালক গাছটি কেটে ফেলে। এখানে আমি কাউকে নির্দেশ দেইনি।দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম বলেন, আমি ওই দিন রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের এসে দেখি বিদ্যালয়ের একটি আমগাছ কেটে ফেলা রাখা হয়েছে। সেখানে গাছ কাটার করাত, কুড়াল পড়ে ছিল। পরে ইউএনও এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, দুর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাকে ফোন করে বলেন, আমরা দুপক্ষ মীমাংসা করেছি। তাই এ ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সানাউল্লাহ বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে প্রধান শিক্ষিকা।
থানা পুলিশ তদন্তও করেছে। এ ঘটনা আপস মীমাংসা করার সুযোগ নাই।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।