লাইফ স্টাইল

ত্বকের যত্নে পাঁচ এসেনশিয়াল অয়েল

মানসিক চাপ দূর করা থেকে ত্বক, চুলের বিভিন্ন সমস্যা রোধে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার। আর তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দামি প্রসাধনীর বদলে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন এসেনশিয়াল অয়েল।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, তৈলাক্ত ত্বকে র‌্যাশ, ব্রণ, ফুসকুড়ির মত সমস্যাও সমাধান করে থাকে নানা ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। আবার শুষ্ক ত্বককে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়েশ্চারাইজ রাখে এই অয়েলগুলি।

তবে সবার ত্বকে সব ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল উপযুক্ত নয় আবার এক একেক ধরনের সমস্যার জন্য আলাদা আলাদা অয়েল রয়েছে। তাই ব্যবহারের আগে জেনে রাখা প্রয়োজন যে কোন সমস্যার জন্য কী ধরনের অয়েল লাগবে।

১. ল্যাভেন্ডার অয়েল : এই অয়েলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষের জন্ম দিতে পারে এই তেল। গভীর ক্ষতের দাগ সারানোর জন্য ল্যাভেন্ডার বিশেষ কার্যকর বলা হয়। সানবার্ন সারাতেও এই তেল সহায়ক।

২. টি ট্রি অয়েল : অনেক প্রসাধনীতেই আজকাল টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করা হয়। ত্বককে সজীব করতে যেমন এই তেলের জুড়ি নেই, তেমনই এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান রয়েছে। ব্রণ, ক্ষতের দাগ সারাতে এবং রোদে পোড়া ভাব দূর করতে এই তেল সাহায্য করে। খুশকির সমস্যাতেও দারুণ কার্যকরী এই অয়েল।

৩. ক্যারট সিড অয়েল : ত্বকের কালো ছোপ দূর করার কাজে এই তেল সহায়ক। এর অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান অ্যালার্জিজনিত দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। অনেক পুরনো ক্ষতের দাগও এই তেলের সাহায্যে সারিয়ে ফেলা যায়।

৪. ক্যামোমাইল অয়েল : মন পরিশ্রান্ত থাকলে তার ছাপ পড়ে মুখে। এই অয়েল ব্যবহারে সেই ক্লান্তির ছায়া দূর হয়ে যায় সহজেই। পাশাপাশি ত্বকে কোনও রকম প্রদাহ হলে তা-ও দূর করতে পারে এই অয়েল।

৫. সিডারউড অয়েল : ব্রণের দাগ, এগজ়িমার দাগ সারাতে সিডারউড এসেনশিয়াল অয়েল বিশেষ উপকারী। ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে তুলতেও অব্যর্থ এই তেল।

%d bloggers like this: