আন্তর্জাতিক

আবারও অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর হতে আবেদন করেছেন ইমরান খান

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে আবেদন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। জেল থেকেই তিনি এই পদে লড়বেন বলে জানিয়েছে ইমরানের দল পিটিআই। লন্ডন-ভিত্তিক পিটিআই মুখপাত্র সাইয়েদ জুলফিকার বুখারি এএফপিকে জানান, ইমরান খান নির্দেশনা দিয়েছেন যে তিনি তার আবেদনপত্র জমা দিতে চান। তার নির্দেশ অনুযায়ী আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে।

এখন আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে বলে জানান বুখারি।  বুখারি বলেন, ‘এটি একটি আনুষ্ঠানিক পদ কিন্তু অত্যন্ত মর্যাদা এবং গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। ইমরান খান অক্সফোর্ড থেকে আসা জনপ্রিয় নামগুলোর মধ্যে একজন। তাকে চ্যান্সেলর হিসাবে দেখতে পাওয়াটা অনেক বেশি আনন্দের।
এর আগে ইমরান খানকে দুর্নীতি ও সহিংসতা উসকে দেয়ার অভিযোগে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

যা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইমরান। গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা এই নেতা। ১০ বছর মেয়াদের জন্য চ্যান্সেলর প্রার্থীদের তালিকা অক্টোবর পর্যন্ত প্রকাশ করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অনুসারে মাসের শেষে ভোটগ্রহণ হবে।

১০৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজিভাষী বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইতালির ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনার পর বিশ্বের দ্বিতীয়-প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বহু রাজনীতিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ইমরান খান নিজেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন।  ইমরান ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক হন।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর পদটি এখন শূন্য রয়েছে। হংকংয়ের সাবেক গভর্নর ও কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান লর্ড প্যাটেনের পদত্যাগের পর পদটি শূন্য হয়ে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলন ছিলেন তিনি। ঐতিহ্যগতভাবে চ্যান্সেলর নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকদের সম্পূর্ণ একাডেমিক পোশাকে উপস্থিত থাকতে হয়।

তবে এবারই প্রথম অনলাইনে ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। মর্যাদাপূর্ণ এই চ্যান্সেলর পদটি সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক স্নাতকদের বিশেষ করে রাজনীতিকদের দখলে থাকে। ইমরান খান আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।