13 July 2025 , 8:25:33 প্রিন্ট সংস্করণ
কুমারখালী প্রতিনিধি ॥
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তিলের ক্ষেত থেকে প্রভাষ কুমার বিশ্বাস (৬৫) নামের এক নরসুন্দরের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। গতকাল শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাপাইগাছি মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে সন্দেহজনক হওয়ায় রাত সোয়া ৭টার দিকে মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা এবং চাপাইগাছি বাজারের নরসুন্দর। তবে স্বজনদের ভাষ্য, মাঠে ছাগলের ঘাঁস কাটতে গিয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রভাষ মারা গেছেন। তবে পুলিশ বলছে, মরদেহটিতে কেউ স্পর্শ করলেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের চামড়া উঠে যাচ্ছে। যা সন্দেহজনক। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দুইটার দিকে নিজ বাড়ি হতে প্রায় এক কিলোমিটার দুরের চাপাইগাছি মাঠে ছাগলের জন্য ঘাঁস কাটতে যায় নরসুন্দর প্রভাষ। এরপর বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তাঁর স্ত্রী তৃষ্ণা রাণী তাকে মাঠে ডাকতে যান। তিনি মাঠে গিয়ে দেখেন একটি তিলের ক্ষেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তা দেখে তৃষ্ণা চিৎকার চেঁচামিচি করে উঠলে স্থানীয়রা ও স্বজনরা ছুটে আসেন। এ সময় তারা মরদেহটিতে হাত দিয়ে ধরতেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের চামড়া উঠে যায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। সরেজমিন গেলে নিহত প্রভাষের স্ত্রী তৃষ্ণা রাণী বলেন, আমার স্বামী হার্ট, ডায়াবেটিস, এ্যাজমা, হাঁপানীসহ বিভিন্ন রোগে ভুগতেছিলেন। দুপুরে মাঠে ঘাঁস কাটতে গিয়েছিল। পরে বাড়িতে ফিরতে দেরি হওয়ায় মাঠে দেখতে ডাকতে গিয়ে লাশ পেয়েছি। তাঁর ভাষ্য, শরীরের হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে চামড়া। হয়তো হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। মরদেহটিতে স্পর্শ করলেই বিভিন্ন অঙ্গের চামড়া উঠে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ। তিনি বলেন, সন্দেহজনক হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরে প্রকৃত ঘটনা জানানো যাবে।















