27 August 2024 , 5:30:15 প্রিন্ট সংস্করণ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। কারণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সময় লাগবে। অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সরকার এবং বিপ্লবী সরকার উল্লেখ করে অনেকে এই সরকারকে ফেলে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই প্রবীন নেতা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে আয়োজিত মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রফিকুল ইসলাম মাহতাবের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকে এই সরকারকে ছাত্রদের সরকার বলছে।
কিন্তু এই আন্দোলনে সারাদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে, সুতরাং এটা বাংলাদেশের জনগণের সরকার। অনেকে মা-বোন, ছাত্রীরা মা-বাবাকে নিয়ে পানি খাইয়ে সহয়তা করেছে। ইউনুস সরকারকে আরও সময় দিতে চাই। অনেকে দাবিদাওয়া দিয়ে এই সরকারকে অতিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে। আনসাররা যে কাজ করেছে এটা কোনো আনসার নয় আওয়ামী লীগ সরকার এদের ট্রেনিং দিয়ে আনসারে নিয়োগ দিয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের উদ্দেশে রণাঙ্গনের এই বীর যোদ্ধা বলেন, ‘উপদেষ্টারা দয়া করে যে বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে তাকে ধারণ করুন। নির্বাচনের দিন প্রধান কমিশনার ঘুমায়, সেই কমিশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিলুপ্ত করুন। নইলে গণতন্ত্র আসবে কীভাবে? সাধারণ জনগণের অধিকার যেন আর কেউ ক্ষুণ্ন করতে না পারে সেজন্য দেশের সকল মানুষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।মেজর হাফিজ আরও বলেন, ‘এখন যে সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের অন্তর্বীকালীন সরকার হলেও তারা মূলত বিপ্লবী সরকার।
ড. ইউনুস বরেণ্য ব্যক্তিত্ব তার সরকারক ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ভারত সরকারের উচিত খুনিদের ফেরত পাঠানো। সেনবাহিনীর প্রতি আহ্বান ৬২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করুন। এদেরকে সেনাবাহিনী আশ্রয় দিতে পারে না। তাদের প্রতি আশা তারা জনগণের পাশে সবসময় থাকবেন। স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ।বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘যেসব অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে থাকার কথা সেসব অস্ত্র শেখ হাসিনা মানুষকে দমন করার জন্য পুলিশকে দিয়েছে।
মিয়ানমারের বাহিনীরা সীমান্তে এসে মানুষ মেরে চলে যায় কিন্তু আমাদের বিমানবাহিনীরা কোনো জবাব দেয় না। সেনাবাহিনীকে দিয়ে শুধু ব্রিজ আর বন্যায় ত্রাণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করলে হবে না। আমাদের আগ্রাসী কোনো পরিকল্পনা নাই দেশের মানুষ বিএনপিকে দায়িত্ব দিলে সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করবে। মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিঞার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় মৎসজীবী দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।