রাজনীতি

তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললেন সাবেক এমপি

তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললেন সাবেক এমপি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সভায় তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এম শাহীন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে কুলাউড়া উপজেলা সদরের মাগুরা গোশাগুল এলাকায় নিজ বাসায় মতবিনিময় সভা ডাকেন সাবেক এমপি এম এম শাহীন। কিন্ত মঙ্গলবার তৃণমল বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার খবর চাউর হয়।

এর প্রভাবে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন হাতে গোনা কর্মী-সমর্থক।এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে এম এম শাহীনের পক্ষে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, যে দলের মা নেই, বাপ নেই, ঠিকানা নেই, সেই দলে আমি যেতে চাইনি। কিন্তু কুলাউড়ার মানুষের স্বার্থে সেই দলের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম।

যেহেতু আপনারা সেটা চাননি, তাই আমি তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললাম। আমি আর নির্বাচন করবো না।’ এ সময় সমর্থকেরা তাকে স্বতন্ত নির্বাচন করার অনুরোধ করেন। পরে তিনি সেটা বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদক এম এম শাহীন এক সময় জাসদ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

১৯৯৩ সালে নিউ ইয়র্ক ছেড়ে দেশে ফিরে বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।২০০১ সালে চার দলীয় জোট গঠিত হলে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তখন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এম শাহীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে ৬ হাজার ভোটের ব্যবদানে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন। এসময় তিনি দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন। ২০০৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি তাকে প্রার্থী করলে তিনি একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

কিন্ত সেই নির্বাচন স্থগিত হয়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। দেশের শাসনব্যবস্থা ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তখন মাইনাস টু ফরমুলা নিয়ে হাজির হয় সেই সরকার।পরে বিএনপির প্রাক্তন নেতা ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) গঠন করেন।

সেই দলের সভাসমাবেশ করে ফের আলোচনায় আসেন এম এম শাহীন। বিএনপি থেকে বাদ পড়েন। পরে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। ২০১৮ সালে বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

আরও খবর

Sponsered content