15 August 2024 , 4:15:12 প্রিন্ট সংস্করণ
আমরা প্রতিদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর নিজের বিছানায় শোয়া মাত্র একের পর এক হাই উঠতে শুরু করে। কিংবা সারারাত ঘুমানোর পরও অফিসে গিয়ে ঘন ঘন হাই তোলা। দুপুরে ভালোমন্দ খাওয়ার পর অফিসে কাজে বসলেও যেন ক্লান্তি, ঘুম ঘিরে ধরে।
কাজ করতে অলসতা লাগে।আবার পেটভর্তি থাকলেই বারবার হাই উঠতে থাকে। রাতে ভালো ঘুম না হলেও সারাদিন ধরে হাই উঠতে থাকে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু ঘুম পাওয়া বা অত্যধিক পেটভর্তি হয়ে যাওয়াই হাই ওঠার মূল কারণ হতে পারে না। খুব বেশি হাই উঠলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
১. রাত জেগে গল্প করলে কিংবা সিনেমা দেখলে পর দিন সকাল থেকে ক্লান্ত লাগতেই পারে। আপনি ঘুমে আচ্ছন্ন হলে বারবার হাইও উঠতে পারে। কিন্তু ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা ‘ইনসমনিয়া’র মতো সমস্যা থাকলে নিয়মিত ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। তাই অতিরিক্ত হাই উঠলে সাবধান থাকা উচিত।
২. বেশ কিছু ওষুধের প্রভাবেও ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। কাশি কমানো বা স্নায়ুর কোনো রোগের ওষুধ খেলে আচ্ছন্ন ভাব থাকে অনেকেরই। তার থেকেও হাই ওঠে।
৩. শরীরে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখতে অনেক সময়েই হাই উঠতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছলে হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই হার্টের সমস্যার অন্যান্য লক্ষণের পাশাপাশি যদি অতিরিক্ত হাই ওঠে, তবে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. চিকিৎসকরা বলছেন, অত্যধিক মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে থাকলেও হাই ওঠে অনেকের। কোনো বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হলেও এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. মাথার অতিরিক্ত পরিশ্রম হলেও হাই ওঠা স্বাভাবিক। এ ছাড়া পার্কিনসন্স বা স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অত্যধিক হাই উঠতে দেখা যায়।
বি.দ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।