বিনোদন

সাধ্যে থাকলে সস্তার চাইতে মান-শখ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বললেন রুনা খান

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৬ বছর আগের এক ঘটনা স্মৃতিচারণ করে আবেগতাড়িত হয়েছেন তিনি। আজ থেকে ১৬ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৮ সালে প্রথমবার বিমানে চড়ে ব্যাংককে যান তিনি। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। ‘মামা-ভাগ্নে’ শিরোনামে ওই নাটকের শুটিং করতে গিয়ে ভিন্নরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন রুনা।

যে নাটকের ব্যাংকক অংশের শুটিং করে পারিশ্রমিক হিসেবে পান ৫০০ ডলার। তখনকার সময়ে ১০০ ডলার সমান ছিল ৩৩০০-৩৪০০ বাথ। যেই পারিশ্রমিক দিয়ে নিজের পাশাপাশি পরিবারের সবার জন্য এমনকি শিল্পীদের অনেকের জন্যই কেনাকাটা করে নিয়ে এসেছিলেন এই অভিনেত্রী। যেসবের মাঝে নিজের জন্য কেনা দামী দুটি টপ এখনও সযত্নে রেখে দিয়েছেন রুনা।

আর সেই টপেই ১৬ বছর পর তার ১৪ বছরের মেয়ে রাজেশ্বরীকে সাজালেন তিনি।সোমবার দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে মেয়ে রাজেশ্বরীর দুটি ছবি শেয়ার করে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন রুনা। যেখানে অভিনেত্রী বন্যা মির্জাকে মেয়ের ছবি দুটি উপহার হিসেবে দিয়েছেন তিনি। ওই স্ট্যাটাসে রুনা খান লিখেছেন, জীবনে প্রথম অভিনয় দিয়া ডলার কামাইলাম। অভিনয়ের বিনিময়ে বাথও কামাইলাম প্রথম। পেমেন্ট আর খাওয়ার টাকা বাঁচিয়ে পুরো ৬০০ ডলারের কেনাকাটা করি।

বাংলাদেশে আমার তৎকালীন পরিচিত, কাছের এমন একটি মানুষ ছিলো না যার জন্য আমি নিজের টাকায় এক বা একাধিক উপহার আনিনি। নিজের মা-বাবা থেকে শুরু করে অভিনয় জীবনের শুরুতে যে বাড়ীতে আশ্রিত ছিলাম সেই বাড়ীর সকল গৃহকর্মীদের জন্য পর্যন্ত উপহার কিনেছিলাম..! অভিনেত্রী লেখেন, একদিন রবিনসনে হবে হয়তো। সুতির দুটো টপ বহুবার নেড়েচেড়ে দেখে রেখে দেই। তখন সেটা মহাদাম আমার কাছে, একেকটা ৯৯৯ বাথ! ঐ টাকায় ১০-১৫ জনের জন্য গিফট আনতে পারি, এটাই চিন্তা আমার।

বন্যা আপা কাছে গিয়ে বললেন, সবার জন্যই তো উপহার নিয়েছিস, এ দুটো নিজের জন্য নে, দাম নিয়ে ভাবিস না। নিজে এত কষ্ট করে কাজ করছিস, নিজের শখ মেটাবি না..! আমি বললাম না গো, নিজের জন্য কিনলেও ১৯৯৮ বাথে ২টা না ২০টা জিনিস কিনবো! শুটিংয়ে কাজে লাগবে..! কিনলাম আর মনে-মনে বন্যা আপারে বইক্কা কিছু রাখলাম না.. ! সেই টপ দুইটি এখনও নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন রুনা। পছন্দের সেই দুইটি জামা আজ অভিনেত্রীর মেয়ের পছন্দের তালিকাতে জায়গা করে নিয়েছে।

বিষয়টি উল্লেখ করে অভিনেত্রী লেখেন, টপ দুটোর বয়স ১৬ বছর আর রাজেশ্বরীর বয়স ১৪ বছর। তার সবচেয়ে পছন্দের মধ্যে এই দুটো জামা। ১৯৯৮ বাথের টপ দুটো ছাড়া আর কিছুই নাই, টিকেনি! বন্যা মির্জাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সবশেষ রুনা লেখেন, তুমি ঠিক ছিলে, সাধ্যে থাকলে সস্তার চাইতে মান-শখ বেশী গুরুত্বপূর্ণ! তোমার কাছ থেকে আমি এটা শিখেছি। রাজেশ্বরীর ছবি আমি খুব কম পোস্ট করি। তোমাকে ঐ ট্রিপে কোন উপহার দেইনি। ১৬ বছর পর দিলাম। মেয়ের ছবি দুটো তোমার জন্য উপহার বন্যা আপা।

আরও খবর

Sponsered content