23 June 2024 , 5:23:48 প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুরের শ্রীবরদী ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়কের অপারেশনের সময় ময়দান আলী (৫৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।নিবার দুপুরে শ্রীবরদী পৌর শহরের চৌরাস্তা মোড়ে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
মৃত ময়দান আলী শ্রীবরদী উপজেলার মামদামারী গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।নিহতের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম জানান, এক সপ্তাহ আগে তার স্বামীর বুকের বাম পাশে ফোড়া ওঠে। গত দুদিন আগে ফোড়ার ব্যথা বেশি হলে তাকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
শনিবার ওই রোগীর পরীক্ষার জন্য শ্রীবরদীর ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।এ সময় শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক শাহিন মিয়া তাকে ইনজেকশন দিয়ে অপারেশনের উদ্যোগ নেন। এর পরেই রোগীর শরীরে কাপন ধরে কয়েক মিনিট পরেই মারা যান রোগী।এ সময় রোগী মারা গেছে দেখে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অন্যত্র নেওয়ার পরামর্শ দেন শাহিন মিয়া।
কিন্তু ততক্ষণে মৃতের স্বজন এসে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শাহিন মিয়া পালিয়ে যায়।পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শামিম ও জুয়েল নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি করেছেন মৃত ময়দান আলীর ছেলে রুমান হাসান বাবু।
শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. অমিও জ্যোতি সাইফুল্লাহ বলেন, ওই রোগীকে দুদিন আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। রোগীর বুকের বাম পাশে ফোড়া অপারেশন করা সম্ভব হয়নি। তাই তাকে রেফার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শাহিন মিয়া এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন অফিস সহায়ক। তার অপারেশন করার কোনো অনুমতি নেই।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।