6 June 2024 , 4:51:13 প্রিন্ট সংস্করণ
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে সরকার। দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কালো টাকা থাকা নাগরিকরা তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়েই তাদের অঘোষিত সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছেন। প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, কোনো করদাতা ফ্ল্যাট, জমির পাশাপাশি নগদ অর্থসহ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ১৫ শতাংশ কর দিলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করায় বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের অজ্ঞতাসহ অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে অর্জিত সম্পদ প্রকাশে ‘ত্রুটি’ থাকতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের এই ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেওয়া এবং অর্থনীতির মূল ধারায় অর্থের প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর আইনে কর প্রণোদনার ওপর একটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।উল্লেখ্য, প্রদর্শিত বা বৈধ আয়ের ওপর কর পরিশোধ করতে হবে তার দ্বিগুণ। নতুন বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণীর সর্বোচ্চ করসীমা ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীতের প্রস্তাব করা হচ্ছে।
অর্থাৎ বৈধ আয়ের ওপর করাঘাত আরো বাড়ল।এর আগে, ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার মাত্র ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ওই অর্থবছরে প্রায় ১১ হাজার ৮৩৯ জন ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বৈধ করে—যা ছিল দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ কালো টাকা সাদা করার ঘটনা। এসব বিনিয়োগ থেকে ২ হাজার ৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছিল এনবিআর।