21 February 2024 , 3:18:31 প্রিন্ট সংস্করণ
টাকার লোভে পোলাডারে ইতালি পাঠাতে চাইছিলাম। আমি গরিব মানুষ। জমিজমা বিক্রি করে দালালের কাছে টাকা দিয়েছি। এখন আমার সবই শেষ হয়ে গেল। আমার বাবারে শেষবারের মতো একবার দেখতে চাই। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো শুনাচ্ছিলেন তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত হওয়া মাদারীপুরের সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দালাল মোশারফ কাজী দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়া বসবাস করছেন। ইতালি পাঠাতে দেশে যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার ছেলে যুবরাজ।সুনীল বৈরাগী বলেন, বেশি লাভের আশায় দালাল নৌকায় অনেক যাত্রী উঠাইছিল। না হইলে পোলাগুলার এমন অবস্থা হইত না। সরকারের সহযোগিতায় সজলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান ছেলে হারা এ বাবা।
কদমবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর কদমবাড়ি গ্রামের নয়ন বিশ্বাসের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলে এখনো বেঁচে আছে। দালালের সঙ্গে কথা হলে তাদের এ কথা জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ২ মাস আগে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে গত ১৪ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে দালালদের মাধ্যমে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌযানে রওনা দেয় তারা। তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌযানের ইঞ্জিন ফেটে আগুন ধরে যায়। পরে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায় নৌকাটি। এতে মাদারীপুর পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহতরা হলেন- রাজৈর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের সজীব কাজী, পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ, সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী, কদমবাড়ী গ্রামের নয়ন বিশ্বাস ও কিশোরদিয়া গ্রামের কাওসার।