14 January 2024 , 2:48:53 প্রিন্ট সংস্করণ
দুপুর প্রায় ১২টা বাজে। তখনো দেখা নেই সূর্যের। কনকনে শীত। হাত-পায়ে মোজা আর গায়ে চাদর মুড়িয়ে নিজ অটোভ্যানের ওপর জবুথবু হয়ে বসে আছেন রিকশাচালক আবুল খান (৭৫)। রাস্তাঘাটে তো তেমন মানুষ নেই। খুব জরুরি ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, বেশি দূরত্বে যাচ্ছেন না।
এর মধ্যে কেন অটোভ্যান নিয়ে বেরিয়েছেন-জানতে চাইলে আবুল খান (৭৫) বলেন, ‘এমন শীত আর ঠান্ডা! বাতাসের সাথে মনে হয় বরফ মিশানো রয়েছে। মানুষজন তো ঘর থেকেই বের হচ্ছে না। দুপুর হয়ে যাচ্ছে কুয়াশা পড়তেই আছে। সন্ধ্যার পর তো দুই হাত রাস্তাও দেখা যায় না। কিছু করার নাই! পেট কি আর শীত মানে!
টানা কয়েক দিন ধরেই পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বেড়েছে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা। উপজেলায় দিনের বেশির ভাগ সময় পথ-ঘাট-মাঠ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, বিপাকে পড়েছেন দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা।গতকাল শনিবার ছিল উপজেলার সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাটের দিন।
সরেজমিন দেখা গেছে, তীব্র শীত থেকে বাঁচতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মোড়ে মোড়ে টায়ার এবং কাঠ জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছেন। শীতের তীব্রতায় মুদিদোকান, তরিতরকারির দোকানসহ নিত্যপণ্যের দোকানে ক্রেতার উপস্থিতি একেবারেই কম। তবে কিছুটা ভিড় ছিল শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম লিমা সোনালী নিউজ কে বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীরা বেশি আসছেন বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। আমরা প্রয়োজন অনুসারে তাদের সেবা দিচ্ছি।