7 May 2024 , 12:49:12 প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশের দুটি শব্দ আমার খুব ভালো লেগেছে। একটি ইনশাল্লাহ, আরেকটি বিসমিল্লাহ। ভালো কিছু হলে বাংলাদেশের মানুষরা ইনশাল্লাহ বলেন। এখন ভালো কিছু হলে আমি নিজেও ইনশাল্লাহ বলি। শব্দটি আমি আমার নিজের ডিকশনারিতে রেখে দিয়েছি। কথাগুলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ ছবির কল্যাণে রাতারাতি দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বনে যাওয়া কলকাতার টিভি অভিনেত্রী ইধিকা পালের।
ইধিকা বলেন, ‘প্রথম সিনেমায় আমি যতটুকু আশা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। আমি যখন বাংলাদেশে ‘প্রিয়তমা’র শুটিং করতে আসি তখন শুরুর দিকে ভাষাগত একটু সমস্যা ছিলো। পরে ছবির পরিচালকের সহযোগিতায় সহজেই বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা শিখে ফেলেছি। ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ- এই চারটি জেলায় শুটিংয়ের কাজে যেতে হয়েছে।
একেক জায়গায় একেক রকম ভাষা, একেক রকম খাবার। এখানকার খাবার খুব মজার। আমি প্রায়ই অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলেছি।’প্রিয়তমা’ সিনেমায় প্রিয় সংলাপের কথা জানাতে গিয়ে ইধিকা বলেন, ‘আমার প্রিয় সংলাপ ‘আব্বু, গো মার্কেটে। আব্বু ইয়েসটারডে আসবে।’ বাংলাদেশের সিনেপ্রেমী দর্শকরা কলকাতার শিল্পীদের খুব পছন্দ করেন। ‘প্রিয়তমা’ যাত্রার শুরু থেকেই আমি তাদের ভালোবাসা পেয়ে আসছি।
এতে করে দুই বাংলায় আমার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেলো। আমি নেগেটিভ পাবলিসিটি পছন্দ করি না। অবশ্য আমার প্রথম সিনেমায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আসল কথা হলো, আমার নেগেটিভ পাবলিসিটির কোনো দরকারই নেই।ইধিকা তার প্রথম সিনেমার সাফল্য দেখে আনন্দে আত্মহারা জানিয়ে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের দর্শকদের ধন্যবাদ জানাই আমার প্রথম সিনেমায় এতো সাপোর্ট দেয়ার জন্য। পাশাপাশি আমার সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক, কো-আর্টিস্টসহ সকল কলা-কুশলীর প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা।
এছাড়া আমি সুপারস্টার শাকিব খানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমি সৌভাগ্যবান যে, অভিষেক ছবিতেই এত বড় মাপের একজন সুপারস্টারকে আমার নায়ক হিসেবে পেয়েছি। শুটিংয়ের সময়টা অনেক উপভোগ্য ছিলো। শাকিব খানের সাথে কাজ করে আমার প্রাণ ভরে গেছে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।