জাতীয়

ফেব্রুয়ারিতে সংরক্ষিত আসনের ভোট তৈরি হয়েছে জটিল সমীকরণ

ফেব্রুয়ারিতে সংরক্ষিত আসনের ভোট তৈরি হয়েছে জটিল সমীকরণ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নারী সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) আগারগাঁওয় নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন,জানুয়ারি মাসে হওয়ার সম্ভাবনা কম, ফেব্রুয়ারী মাসে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন,সংসদ থেকে খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে, সে তালিকায় কোনো আপত্তি না থাকলে আগামী সপ্তাহে সেটা নির্বাচন কমিশনে উঠবে, কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার পর সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।এবার বিপুল স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে, সে জায়গাগুলোতে সংরক্ষিত আসন বন্টন কিভাবে হবে?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে, এ বিষয়ে কমিশনের তেমন কোনো বক্তব্য নেই। রাজনৈতিক দল কোঠা অনুযায়ী কয়টা আসন পাবে সেটা বলে দেওয়া হবে।রাজনৈতিক দলের কোঠা তো পরিষ্কার, স্বতন্ত্রদের মধ্যে কাকে চিঠি দিবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বতন্ত্রদের কাউকে চিঠি দেওয়া হবে না, কিন্তু যেসব রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রতিনিধিকে দেওয়া হবে। ৬০ জনের টা কি হবে তা পরবর্তীতে জানানো হবে।

তবে এখনও কোনো স্বতন্ত্র জোট বা কার সাথে নির্বাচন করেছে তা এখনও জানায়নি।কুমিল্লা সিটির উপ-নির্বাচনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আমরা এখনও স্থানীয় সরকার থেকে কোনো চিঠি পায়নি, চিঠি পেলে এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে।ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, স্বতন্ত্র আইন অনুযায়ী দলভিত্তিক অথবা স্বতন্ত্রদের নিয়ে আলাদা জোট করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্ররা পাবে ১০ টি আসন। আওয়ামী লীগ পাবে ৩৭ টি আসন।

জাতীয় পার্টি ২ টি এবং ওয়াকার্স পার্টি কল্যাণ পার্টি এবং জাসদ তিনজন মিলে পয়েন্ট ৫ তাহলে তারা ১ টি আসন পেতে পারে।সংরক্ষিত মহিলা আসন আইনের প্রসঙ্গে টেনে এই কর্মকর্তারা জানান, এ আইনের প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। জটিল এই অর্থে ধরেন আওয়ামী লীগ ৩৭ টি আসন পাবে তারা যদি ৩৭ জন মনোনয়ন দেয় তাহলে আর সেখানে নির্বাচনের প্রশ্ন আসে না। এখন যদি দল থেকে ৩৭ জনের জায়গায় ৫০ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে ভোট করতে হবে। স্বতন্ত্র পায় ১০ টা।

তারা যদি ঐক্যবদ্ধ না হয় বিভিন্নজন বিভিন্ন প্রার্থীকে দিয়ে যদি মনোনয়ন জমা দেয়। এদিকে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে স্বতন্ত্রদের একজন প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর করতে হয়। স্বতন্ত্রদের যদি দু্ইজন করে করে নিয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে যদি ২০ টি আবেদন দাখিল করে তাহলে ২০ জন থেকে ১০ জনকে নির্বাচিত করতে হবে। এই স্বতন্ত্র ৬২ জনই তখন ভোট দিতে পারবে।যাদের জোটের ভোট তার তার জানিয়ে কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন,এই ভোট হবে ভিন্ন পদ্ধতিতে।

স্বতন্ত্র ২০ জন প্রার্থী আমরা নির্বাচন করবো ১০ জন। তাহলে ১০ টা ভোট দিবো। যাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি তাকে ১ তারপরের জন ২ এভাবে ক্রমান্বয়ে ১০ টা ভোট দিবে।জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন আইন ২০০৪ এর ৩ অনুচ্ছেদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হবার তারিখের পরবর্তী ত্রিশ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের ৩ দফার অধীন সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন সাধারন আসনে নির্বাচিত সদস্যদের রাজনৈতিক দল বা জোটওয়ারী সদস্যেদের পৃথক তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।

আইনে ৬ এর ১ অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আনুপাতিক হারে বা দলীয় জোটগত কোটায় ৬ জন সংসদ সদস্যদের ভিত্তিতে ১ জন নারী সদস্য নির্বাচিত হইবেন।