Uncategorized

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার যারা

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার যারা

পৃথিবীতে অনেক ধনী মানুষ রয়েছে। যে কারণে প্রতি বছর শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষ হচ্ছেন ইলন মাস্ক। কিন্তু আপনি কি জানেন? বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবার কোনটি? তাদের জীবনযাত্রা কেমন, সম্পদের পরিমাণ কত? রূপকথাকেও হার মানাবে দুবাইয়ের আল নাহইয়ান পরিবারের জীবনযাপন. রাজকীয় এই পরিবারের মালিকানায় আছে ৪০৭৮ কোটি টাকার প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস. যার আয়তন তিনটা পেন্টাগনের সমান৷

‘জিকিউ ইন্ডিয়া’ সাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পরিবারের কাছে আছে ৮ টা প্রাইভেট জেট এবং বিশ্বের ধনীতম ফুটবল ক্লাব।সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়াদ আল নাহইয়ান এই পরিবারের কর্তা। তার ১৮ জন ভাই এবং ১১ জন বোন পরিবারের অন্যতম সদস্য। এছাড়াও আছে ৯ জন সন্তান এবং ১৮ জন নাতিনাতনী।সারাবিশ্বের খনিজ তেলের ভাণ্ডারের ৬ শতাংশের মালিক এই পরিবার। ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব এবং একাধিক বিশ্বখ্যাত সংস্থার শেয়ারও তাদেরই নামে মালিকানাধীন।

গায়িকা রিহান্নার প্রসাধনী ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে এলন মাস্কের স্পেস এক্স-সব জায়গাতেই আছে আল নাহইয়ানদের শেয়ার।সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে একাধিক প্রাসাদ আছে এই পরিবারের। সেগুলোর মধ্যে তাদের নিয়মিত বাসভবন হল আবুধাবিতে কাঁসর আল ওয়াতন প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস। ৯৪ একর জমিতে বিস্তৃত এই প্রাসাদের বৈশিষ্ট্য এর গম্বুজ। এই প্রাসাদটি তিনটি পেন্টাগন (আমেরিকার প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর ২৯ একর জুড়ে বিস্তৃত)-এর সমান এলাকা জুড়ে রয়েছে। প্রাসাদে সংরক্ষিত অসংখ্য ঐতিহাসিক শিল্পকর্মের মধ্যে অন্যতম ৩ লাখ ৫০ হাজার স্ফটিকে তৈরি ঝাড়লন্ঠন।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ছাড়াও প্যারিস ও লন্ডনে তাদের নামে আছে বিলাসবহুল সম্পত্তি। এই পরিবারেরই এক পূর্বপুরুষের নামে ইংল্যান্ডের অভিজাততম এলাকায় বিস্তৃত জমি ছিল বলে তাকে বলা হত ‘লন্ডনের জমিদার’ বা ‘ল্যান্ডলর্ড অব লন্ডন’৷ ২০১৫ সালে নিউ ইয়র্কারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে দুবাইয়ের এই রাজ পরিবারের যা বিত্ত ও সম্পত্তি রয়েছে তা অচিরেই তুলনা করা যায় ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পদের সঙ্গে।পরিবারের সদস্য শেখ হামাদ বিন হামদান আল নাহইয়ানের গাড়ির সংখ্যা ৭০০-র বেশি।

তার গাড়িশালে পর পর সাজানো আছে পৃথিবীর বৃহত্তম এসইউভি, ৫টি বুগাত্তি ভেরঁ, একটি ল্যাম্বরগিনি রেভেন্টন, একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ সিএলকে জিটিআর, একটি ফেরারি ৫৯৯এক্সএক্স এবং ম্যাকল্যারেন এমসি ১২।প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়াদ আল নাহইয়ানের ভাই তাহনাউন বিন জায়েদ আল নাহইয়ান পরিবারের প্রধান বিনিয়োগ সংস্থার দেখাশোনা করেন। গত ৫ বছরে এই সংস্থার বাজারমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৮ হাজার শতাংশে। বর্তমানে ২৩৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এই সংস্থার অধীনে আছে কৃষি, শক্তি, বিনোদন এবং সমুদ্র সংক্রান্ত বহু ব্যবসা।

তাদের অধীনে কর্মরত রয়েছেন অগণিত কর্মী।আরব আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়াদ আল নাহইয়ানের সংস্থা আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ ২০০৮ সালে ২১২২ কোটি টাকায় কিনে নেয় গ্রেট ব্রিটেনের নামি ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি-কে। বিশ্বের আরও একাধিক নামিদামি ফুটবল ক্লাবের অধিকাংশ মালিকানা রয়েছে এই পরিবারেরই নামে।

আরও খবর

Sponsered content