1 September 2024 , 4:14:30 প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও অধিদপ্তরের শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদল হচ্ছে। বিগত আওয়ামী সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বেশিরভাগই পদত্যাগ করেছেন। এরমধ্যে কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঢাবি নতুন উপাচার্য পেলেও বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অভিবাবকহীন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, দেশে ৫০টির বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪০টির বেশি এখন উপাচার্যহীন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং ক্লাস-পরীক্ষা সচল করতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিতে হচ্ছে সরকারকে। তবে নাগাদ ঠিক কবে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে শনিবার শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন।
‘আশা করি যে অচিরেই আমরা অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে পারব। আবার ইউজিসির চেয়ারম্যানের পদও শূন্য হয়ে আছে। সেটার জন্য বেসরকারি খাতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিচালনার ক্ষেত্রে একটা অভিভাবকশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এখানে আমরা অতি দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য দু–একজন মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। অনেককে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার খবরও আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে না দাঁড়াতে আহ্বান করেছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা। বর্তমানে যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে সেটা হবে সাময়িক দায়িত্ব। পরে নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘যাদের নিয়োগ (প্রশাসনিক পদে) দেওয়া হচ্ছে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাববেন না। কারণ এদের অনেকেই কিন্তু পরে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তাদের অনেক অনুরোধ করে এখানে (প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া) আনা হচ্ছে, একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা সক্রিয় আছেন, জানাশোনা আছেন, তাদেরও মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। আমি আশা করি, সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবার শান্তিপূর্ণভাবে চালু হবে, শিক্ষাক্রম চালু হবে।
শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে যে যেসব উপাচার্যকে এসব পদে নিয়োগ দিচ্ছি, সেখানে কিন্তু প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের একটা নিয়ম আছে, সিনেটের মাধ্যমে এবং নানা প্রক্রিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ হন। এই পদ্ধতি তো চালু থাকবেই।
প্রশ্ন উঠতে পারে, এখন আমরা নিয়োগ দিচ্ছি কীভাবে? আসলে পুরো পদ্ধতি গ্রহণেরও তো সময় নেই। আমাদের তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করতে হবে। কাজেই এটা সাময়িকভাবে নিয়োগগুলো দিতে হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে নিশ্চয়ই নিয়মানুগভাবে সব কিছু হবে। এখন তো পুরো প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ নেই।