4 March 2024 , 3:55:39 প্রিন্ট সংস্করণ
প্রচলিত আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। অর্থাৎ বাঙালিদের মাছ এবং ভাত চাই-ই চাই। যত যা খাবারাই খাওয়া হোক না কেন, ভাত ছাড়া যেন চলেই না আমাদের। কিন্তু অনেকেই ওজন বেড়ে যাবে এই শঙ্কায় ভাত খাওয়া বন্ধ রাখেন। তাদের মতে, নিয়মিত ভাত খাওয়ার পর ঘুমাতে গেলে ওজন বাড়ে।
এ জন্য তারা ভাত কম খান এবং রাতে একদমই খান না।কিন্তু আসলেই কি ভাত খেলে ওজন বাড়ে? এ নিয়ে যখন নানা চর্চা, তখন বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদার। এবার তাহলে তার ভাষ্যমতে ভাত খেলে ওজন বাড়ে কিনা, সেটি জেনে নেয়া যাক।
পুষ্টির খনি: ভাত হচ্ছে কার্বের ভাণ্ডার। এ জন্য নিয়মিত ভাত খেলে শরীরে শক্তির ঘাটতি মিটে বলা যায়। এছাড়া ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ থেকে শুরু করে নানা উপকারী ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে ভাতে। সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে প্রতিদিন ভাত খেতে হবে।
রাতে ভাত খেলে কি আসলেই ওজন বাড়ে: ভাত অত্যন্ত উপকারী কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ভাত খাওয়াই যেতে পারে। আর হিসেব করে চললে রাতেও ভাত খেতে পারেন। এতে ওজন বাড়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
ভাতের সঙ্গে সবজি থাকতে হবে: রাতে ভাত খেলে খুবই অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। ভাতের সঙ্গে একবাটি সবজি রাখতে হবে। এতে শরীরে ফাইবারের ঘাটতি মিটে যাবে। একইভাবে মাছ, মাংস, ডিমের মতো প্রোটিন জাতীয় খাবারও খেতে পারেন। নিয়ম মেনে খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। বরং আরও উপকার পাওয়া যায়।
ওজন বেশি থাকলে সাবধান: আপনার যদি আগে থেকেই ওজন বেশি থাকে, তাহলে প্রতিদিন ভাত খাওয়ার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী ভাত খেতে পারেন। এতে ওজন বরং আরও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চাইলে ভাতের পরিবর্তে রুটিও খেতে পারেন। এতেও শরীরে ফাইবারের ঘাটতি মিটে যাবে। ওজনও বাড়বে না।
ব্রাউন রাইস কি অনেক উপকারী: সাদা ভাতের তুলনায় কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে ব্রাউন রাইসে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কিছুটা কম। এ জন্য সামর্থ্য থাকলে বাউন রাইস খেতে পারেন। তাতে ওজন বাড়বে না। বরং সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে যাদের পক্ষে ব্রাউন রাইস কেনা সম্ভব নয়, তারা সাদা চালের ভাত খেতে পারেন। এতে খুব একটা সমস্যা হয় না বললেই চলে।