22 February 2024 , 2:28:11 প্রিন্ট সংস্করণ
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ৭২ বছর পর বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মিত হয়েছে শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে উপজেলার নিজস্ব কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু। তবে এই শহীদ মিনার নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগে।
নবনির্মিত শহীদ মিনারকে বাবুগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে মানতে নারাজ দলটির একাংশ।একুশের প্রথম প্রহরে বাবুগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেও সেখানে যাননি সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর অনুসারীরা। যাননি যুবলীগ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকও।
তারা বলছেন, বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ চত্বরে ২০১২ সালে নির্মিত শহীদ মিনারটিই উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। তাদের অভিযোগ, নবনির্মিত শহীদ মিনারটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় অনুমোদন না করিয়েই সেখানে শহীদ দিবস পালন করেন ইউএনও, যা ক্ষমতার অপব্যবহার।
বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা কামাল চিশতি বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ব্যবহার করে আসছে। এখন উপজেলা প্রশাসনের নিজস্ব শহীদ মিনার হতে পারে, তবে সেটাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বানিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম করার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে।
একই কথা বলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা আকতারুজ্জামান মিলন।তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম খালেদ হোসেন স্বপন বলেন, ‘মহান একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর অনুসারীরা কেন আসেননি সে ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা রহমান বলেন, ‘বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নিজস্ব শহীদ মিনার ছিল না। তাই ডিগ্রি কলেজের শহীদ মিনারটি উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহার হতো। সম্প্রতি মহিলা এমপির বরাদ্দে উপজেলা পরিষদের জমিতে নতুন শহীদ মিনার হয়েছে। এখন থেকে এটিই উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এখানে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।