বিনোদন

ইন্ডিয়া নামটি দাসত্বের প্রতীক বললেন কঙ্গনা

আসন্ন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অতিথিদের আমন্ত্রণপত্রে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ বলে অভিহিত করার পর থেকেই এ নিয়ে ভারতজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।অন্যদিকে আশিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সরকারি নথিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রাইম মিনিস্টার অব ভারত’ বলা হয়েছে। ছেঁটে ফেলা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ নামটি।

এরই মধ্যে জল্পনা, সংসদের পাঁচদিন ব্যাপী বিশেষ অধিবেশনে দেশের নাম পাল্টে শুধু ‘ভারত’ করার বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র।এসবের জেরে প্রতিবেশী দেশটিতে এই মুহূর্তে টক অব দ্য কান্ট্রি ‘ইন্ডিয়া’ নাকি ‘ভারত’? তবে দেশের নামব দল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ভারতের নাগরিকদের। কেউ নামবদলের পক্ষে, কেউ একদম বিপক্ষে।

এমন আবহে নিজের মতামত জানালেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। নামবদলের পক্ষে তিনি।তিনি জানিয়েছেন, বহু আগে থেকেই ভারত নামের পক্ষে ছিলেন। সেই প্রমাণ দিতে হিন্দুস্তান টাইমসে দুই বছর আগে প্রকাশিত তার একটি বক্তব্যের স্ক্রিনশট ‘এক্স’ (টুইটার) প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।

সেখানে ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ভারত নাম ব্যবহারের পক্ষে কথা বলে কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘ইন্ডিয়া নাম থেকে দূরে থাকা উচিত। আমরা ভারতীয় এবং আমাদের দেশ ভারত। ইন্ডিয়া নামটি দাসত্বের প্রতীক বলেই মনে করি। নিজের পোস্টে কঙ্গনা লেখেন, “এই নামটার (ইন্ডিয়া) প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণ কি? তারা (ব্রিটিশরা) সিন্ধু উচ্চারণ করতে পারত না। তাই সেটা অপভ্রংশ করে ‘ইন্দুস’ করেছিল।

তারপর কখনও হিন্দুস, কখনও ইন্দুস এইসব বলতে বলতে ইন্ডিয়া নাম দিয়ে দিল। সেই মহাভারতের যুগ থেকে যে সকল রাজারা কুরুক্ষেত্রের লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন, তারা সকলে একটাই দেশের অংশ, ভারত। তাহলে এই ইন্দু-সিন্ধু কোথা থেকে এলো? আমরা ইন্ডিয়ান নই, আমরা ভারতীয়।কঙ্গনার এমন বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন ভারতীয়রা।

প্রসঙ্গত, কঙ্গনাকে সামনে দেখা যাবে ‘চন্দ্রমুখী ২’তে। এছাড়াও তার হাতে রয়েছে ‘তেজাস’ এবং ‘ইমার্জেন্সি’র মতো সিনেমা। ‘ইমার্জেন্সি’তে দেশের প্রথম ও একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা। সিনেমাটির পরিচালক এবং প্রযোজকও তিনি।

%d bloggers like this: