সারা দেশ

নদীতে ভাসিয়ে দিলো কর্মচারী ট্রলার মালিককে কুপিয়ে

নদীতে ভাসিয়ে দিলো কর্মচারী ট্রলার মালিককে কুপিয়ে

মাছ ভর্তি ট্রলার চালিয়ে আসার সময় টাকা ও মাছ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে ট্রলারের মালিককে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে কর্মচারী। পরে ট্রলার নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় আটক হন ঘাতক কর্মচারী ইব্রাহিম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রলার মালিক রাশেদ খান নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সাগর থেকে কূলে আসার পথে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানখালীর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃত ইব্রাহিম বরগুনার তালতলী অঙ্কুজান এলাকার সুলতানের ছেলে।নিখোঁজ মালিক রাশেদ খান পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ এলাকার আলতাফ খানের ছেলে। ঘাতক ইব্রাহীম তালতলী ওংকুজনপাড়ার মোসলেমের ছেলে।রাশাদ এর ভাই তুহিন খান ও স্থানীয়রা জানায়, জামাল ও ইব্রাহিমসহ ট্রলারবোঝাই মাছ নিয়ে সাগর থেকে উপকূলের দিকে আসছিলেন ট্রলারমালিক রাশাদ। আর বেশি মাছ দেখে লোভে পড়েন ইব্রাহিম। মাছ লুট করতে রাশাদকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সাগরে ফেলে দেন ঘাতক ইব্রাহিম।

এ সময় রাশাদকে বাঁচাতে তার সঙ্গী জামাল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচান জামাল। পরে ঘাতক ইব্রাহিম মাছসহ সেই ট্রলার নিয়ে আসে পাথরঘাটা ঘাটে বিক্রির জন্য। ওই মাছ সংরক্ষণ করতে বরফ কিনতে গেলে জনতার হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা।আটককৃত ইব্রাহিমের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি খুন করিনি, ওই ট্রলারের জাল পাখায় পেঁচিয়ে যায়।

ওই জাল ছাড়াতে গিয়ে রাশাদের কাপড় পেঁচিয়ে পাখায় পেট কেটে যায়। এর আগে পাখায় জাল ছাড়ানো নিয়ে রাশাদ ও জামালের মধ্যে তর্ক হলে জামালকে লাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন রাশাদ। জামাল তাৎক্ষণিক পানিতে পড়ে যায়।পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, আটক ইব্রাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসাধীন জামাল ও ইব্রাহিমের কথার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। আমরা মাছসহ ট্রলার জব্দ করেছি। জব্দ তালিকাটি সংশ্লিষ্ট থানা পটুয়াখালীর গলাচিপায় পাঠানো হবে।