খেলাধুলা

ক্লান্ত মেসি কালও খেলবেন কিনা জানেন না

‘আমি এই পুরো (এশিয়া) সফরে একটু ক্লান্ত। (কোবের সঙ্গে) শেষ ম্যাচটা খেলার ইচ্ছা আছে। শেষ করে বাড়ি ফিরে যাবো।’সকালে টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন লিওনেল মেসি। তিনি জানান, ‘সৌদি আরবে (আল হিলালের বিরুদ্ধে) খেলার সময় আমি অ্যাবডাক্টরে (কোমর-পায়ের সংযোগে) অস্বস্তি বোধ করছিলাম। দ্বিতীয় ম্যাচে (আল নাসরের বিরুদ্ধে) অল্প সময় খেলে বোঝার চেষ্টা করেছিলাম কেমন আছে, কারণ যে এমআরআই করা হয় তাতে কোনো ইনজুরির লক্ষণ ছিল না।

কিন্তু অস্বস্তি ছিলই। শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মেসি জানান, ‘তারপরে আমরা হংকংয়ে গিয়ে অনুশীলন করি। আমাকে দেখার জন্য প্রচুর ভক্ত (৪০ হাজার) এসেছিল এবং সেখানে শিশুদের একটা ক্লিনিক ছিল বলে আমি সেখানে (স্টেডিয়ামে) যাই। কিন্তু সত্যি বলতে, অস্বস্তি ছিলই এবং আমার পক্ষে খেলা খুব কঠিন ছিল।মেসি বলেন, ‘ফুটবলে আমরা যে কোনও সময় চোটে পড়তে পারি। তবে এটা লজ্জার কারণ আমি সবসময়ই চাই খেলতে, বিশেষ করে যখন আমরা এতদূর ভ্রমণ করেছি এবং লোকজন আমাদের দেখে খুব রোমাঞ্চিত ছিল।

আশা করি, আমরা ভবিষ্যতে হংকংয়ে আরেকটি ম্যাচ খেলতে পারব। বুধবার ভিসেল কোবের সঙ্গে ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে মেসি জানান, ‘আমরা মঙ্গলবার অনুশীলন করব। আমি আবার চেষ্টা করব। আগের দিনগুলোর তুলনায় আমি ভালো অনুভব করছি কিন্তু সত্যি বলতে আমি এখনও জানি না আমি খেলতে পারব কিনা। তবে আমি অনেক ভালো অনুভব করছি এবং খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।বুধবারের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনায় মেসির সাবেক সতীর্থ মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সাবেক ক্লাব ভিসেল কোবে।

২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছয় বছর ভিসেল কোবেতে কাটিয়েছেন ইনিয়েস্তা। ‘আন্দ্রেস (ইনিয়েস্তা) যখন খেলতে এসেছিল এখানে, তখন থেকেই ভিসেল কোবে সম্পর্কে জানি। ওরা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। একটা ভালো দলের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি আমরা’ মেসি জানান।মেসি বলেন, ‘আমরা প্রাক-মৌসুমে আছি এবং আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তারিখ হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি, যেদিন আমাদের লিগ মৌসুম শুরু হবে।এই মুহুর্তে আমরা টানা অনেকগুলি খেলা, প্রচুর ভ্রমণ, সময় অঞ্চল পরিবর্তন থেকে আসছি এবং আমরা খেলার মানের উন্নতি অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে ভাল কিছু অর্জনের জন্য আমরা সেরাটি প্রস্তুত করার আশা করি।

মেসি এর আগেও জাপান সফর করেছেন, এবং বলেছেন যে এই দেশটিতে ফিরতে পেরে তিনি খুশি।তবে এতো ভ্রমণের পর একটু ক্লান্ত তিনি এবং বাড়ি ফেরার তাগিদ অনুভব করছেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে বার্সেলোনা, পিএসজি এবং জাতীয় দলের সাথে এর আগে বেশ কয়েকবার জাপান সফর করেছি এবং এখানকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে, তাই এখানে ফিরে আসা চমৎকার। কিন্তু এত দীর্ঘ সময় ধরে খেলা ও ভ্রমণের পর আমি কিছুটা ক্লান্ত এবং শেষ ম্যাচটি খেলতে এবং তারপর বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: