সারা দেশ

শীত নিবারণের চেষ্টায় খেটে খাওয়া মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে

শীত নিবারণের চেষ্টায় খেটে খাওয়া মানুষেরা আগুন জ্বালিয়ে

কনকনের ঠান্ডা, সাথে হিমেল বাতাস। তীব্র শীতে জবুথবু কিশোরগঞ্জবাসী। একটু উষ্ণতারে জন্য কোথাও খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছে পেটের দায়ে ঘরে থেকে বের হওয়া মানুষগুলো।শৈত্য প্রবাহের কারণে জবুথবু গোটা দেশ। সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। কনকনে শীতে অচল হয়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ উপজেলার আশেপাশের এলাকা।

কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে আকাশ। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষ। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।জেলায় ছিন্নমূল মানুষের অবস্থা বর্ণনাতীত। লক্ষাধিক ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে শীতে খুব কষ্ট ভোগ করছেন। মধ্যরাত থেকে লতা পাতা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকেই।

সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এখনো শীতার্তদের মাঝে তেমন গরম কাপড় বিতরণ করা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবি শীত নিবারণে গরম কাপড় বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার।এলাকার সচেতন মহল বলছেন, হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত ও কুয়াশা। কনকন শীতে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসছে। ছেলে-মেয়েরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না।

নিম্ন আয়ের লোকজন শীতবস্ত্রের অভাবে এ শীতে কাহিল হয়ে পড়ছে।পাড়া-মহল্লা ও রাস্তাঘাটের শীতার্তরা আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষগুলো। গরম কাপড়ের অভাবে হাঁড় কাঁপানো এই শীতে রাত পার করাটাই যেন দায় হয়ে পড়েছে অসহায় মানুষের।

শীত মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কিশোরগঞ্জের প্রশাসন।কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়।

তাই শিশুদের ওপর বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।