4 September 2023 , 2:17:23 প্রিন্ট সংস্করণ
নিউ ইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুজীববিদ্যার গবেষক লেসলি ভসহলের নেতৃত্বে হওয়া সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, কিছু কিছু মানুষের চামড়ায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যাতে মশারা আকৃষ্ট হয় কামড়ানোর জন্য। সারা জীবনই সেই উপাদানগুলি ত্বকে পাওয়া যায়। তাই চির কালই তাঁদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশা।
অর্থাৎ মশা যাঁদের বেশি কামড়ায়, তাঁদের সারা জীবনই মশার কামড় খেয়ে যেতে হবে।গত সপ্তাহে বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সেল’-এ প্রকাশিত হয়েছে ওই গবেষণাটি। ৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর করা হয়েছে পরীক্ষাটি। গবেষকরা বলছেন, নানা ভাবে স্বেচ্ছাসেবকদের সাজিয়ে এডিস ইজিপ্টি মশার সামনে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
দেখা গেছে, বিশেষ কয়েক জন ব্যক্তির দিকে প্রায় একশো গুণ বেশি আকৃষ্ট হয়েছে মশারা। বেশ কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা করার পরেও একই রয়ে গেছে ফলাফল। এই ব্যক্তিদের গবেষকেরা নাম ‘মশক চুম্বক’।কিন্তু কেন ঘটে এমনটা? গবেষকদের দাবি, যাঁদের মশা বেশি কামড়াচ্ছে তাঁদের ত্বকে কিছু বিশেষ ধরনের অ্যাসিড ক্ষরিত হয়।
ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই অ্যাসিডগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক ভেদে বিভিন্ন মানুষের দেহে বিভিন্ন হারে এই উপাদানগুলি ক্ষরিত হয়। ত্বকে বসবাসকারী কিছু ব্যাক্টেরিয়া এই অ্যাসিড থেকে উৎপাদিত ‘পিচ্ছিল’ কণাগুলির ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। মানুষের গায়ের গন্ধও কিছুটা এই উপাদানের ওপর নির্ভর করে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই উপাদানের প্রতিই আকৃষ্ট হয় মশারা। যেহেতু এই অ্যাসিডগুলি ত্বকের স্বাভাবিক উপাদান, তাই জোর করে এই উপাদানগুলি দেহ থেকে দূর করতে গেলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ফলে মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায় নেই।