আন্তর্জাতিক

গাজায় ভূগর্ভস্থ অস্ত্র কারখানা পাওয়ার দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর

গাজায় ভূগর্ভস্থ অস্ত্র কারখানা পাওয়ার দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর

ফিলিস্তিনের ছিটমহল গাজায় একটি অস্ত্র কারখানা খুঁজে পেয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এটিকে এ পর্যন্ত পাওয়া বৃহত্তম অস্ত্র কারখানা বলে দাবি করেছে তারা। কারখানাটিতে ভূগর্ভস্থ কয়েকটি ওয়ার্কশপ আছে আর এগুলো ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানার মতো দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হতো বলে জানিয়েছে তারা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ওয়ার্কশপগুলোতে মর্টার শেলের মতো মানসম্মত যুদ্ধাস্ত্রও তৈরি হতো। পুরো গাজা ভূখণ্ডজুড়ে যুদ্ধ ইউনিটগুলোর কাছে এসব অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওয়ার্কসপগুলো ভূগর্ভস্থ শ্যাফটের মাধ্যমে টানেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার মধ্যাঞ্চলে বুরেইজ এলাকার কারাখানাটি ঘুরে দেখাতে একদল সাংবাদিককে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। বুরেইজ এলাকাটি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ও স্থল হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।মাটির উপরে একটি ওয়ার্কশপ এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ধাতব টিউব ও উপাদান এবং গোলার খোল স্তূপ করে রাখা আছে, এমনটি দেখেছেন সাংবাদিকরা।

অন্য আরেকটি অংশে ক্ষেপণাস্ত্র ধরে রাখা ধাতুর দীর্ঘ র‌্যাক দেখা গেছে, সেখান থেকে একটি লিফট নিচে টানেলে নেমে গেছে।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগরি বলেছেন, লিফটে করে নিয়ে তারা রকেটগুলোকে নিরাপদ একটি জায়গায় রাখতো। তারপর টানেলের ভেতর দিয়ে সেগুলোকে অন্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া হতো।

এক জায়গায় রকেটগুলো তৈরি করে আরেক জায়গায় নিয়ে সেগুলো ছোড়া হতো।৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলা পর গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে গাজায় ব্যাপক টানেল নেটওয়ার্ক খুঁজে পেয়ে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, হামাস সচেতনভাবে বেসামরিক এলাকায় টানেলসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে যেন সেগুলোতে হামলা চালানো কঠিন হয়। হামাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ইসরায়েল নির্বিচারে বেসামরিক লক্ষ্যস্থলগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে আর ভূখণ্ডটির ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছে।