বিনোদন

আবারও অনন্যাতে চমকে দিলেন মেহজাবীন

বছরের শেষান্তে এসে নাটকে ফিরেই যেন চমকে দিলেন মেহজাবীন চৌধুরী। গড়পড়তা গল্পের বাইরে এসে ভিন্নধর্মী এক গল্পে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।মেহজাবীন চৌধুরী বছরের শেষান্তে এসে নাটকে ফিরেই যেন চমকে দিলেন।গড়পড়তা গল্পের বাইরে এসে ভিন্নধর্মী এক গল্পে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হচ্ছেন ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। বিজয় দিবসের দিনে মুক্তি পায় তার নাটক ‘অনন্যা’। মুক্তির পর থেকে ইউটিউবে মন্তব্যের ঘর থেকে সোশ্যালের সবখানে প্রশংসায় সয়লাব।

দর্শকরা নিজেদের অনুভূতি, ভালো লাগা শেয়ার করছেন নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে আর সেসব দেখে অভিভূত নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা ‘অনন্যা’।কেউ কেউ বলছেন, ‘প্রতিটা চাকুরীজীবি মেয়ের বাস্তব জীবনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে কতোটা সংগ্রাম করতে হয় ঘরে, বাহিরে। ধন্যবাদ পরিচালককে। মেহজাবীন আপুর অভিনয় অসাধারণ।

আরেকজন লিখেন, ‘আমাদের সমাজে এমন হাজারো অনন্যা আছে যারা নিজের স্বপ্ন স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে ঘরে বসে আছে। বাস্তবধর্মী এমন নাটক উপহার দেওয়ার জন্য নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।প্রেম ভালোবাসার বাহিরে এমন নাটক বানানো যায়, এইটা না দেখলে বুঝা যাবে না।নাটকটির নিজের পরিবার, সহশিল্পী, নির্মাতা এবং দর্শকদের কাছ থেকে অনেক সাধুবাদ পেয়েছেন জানিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘মাত্রই তো রিলিজ হলো।

অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি, অনেক। এখন পর্যন্ত যতগুলো ফিডব্যাক পেয়েছি তার সবগুলোই খুব পজেটিভ। আমার বাবা-মা কাজটি দেখেছেন, বেশ প্রশংসা করেছেন। এর বাইরেও আমার অনেক সহশিল্পী, নির্মাতা আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বেশ ভালো লাগছে।তিনি আরও বলেন, ‘এটা একদমই সহজ এবং সাধারণ গল্প। একদম সহভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

যেহেতু নারীকেন্দ্রীক গল্প এবং বিশেষ ওয়ার্কিং মাদার যারা তাদের জন্য ডেডিকেটেড করে কাজটি করা।‘অনন্যা’র মাধ্যমে সমাজে কিছু প্রশ্ন তুলে ধরা, নারীদের (ওয়ার্কিং উইমেন) জন্য কিছু ফ্যাসিলিটিজের ব্যবস্থা এবং তাদেরকে ঘিরে কিছু ভুল ধারণা শুধরে দেওয়া—এসব টার্গেট করেই কাজটি করেছি।যেন কাজটি সবার মধ্যে পৌঁছালে নিজ নিজ জায়গা থেকে বিষয়গুলো অনুভব করেন।

আমার মনে হয়, কিছুটা হলেও পৌঁছাতে পেরেছি।অনেকেই নাটকটি দেখে মন্তব্য করছেন, বিশেষ করে যাদের জন্য করা, সেই নারীরা। তাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা যেন তাদেরই জীবনের গল্প। এর বাইরে ছেলে কিংবা পুরুষরাও দেখেছেন, তারাও স্ত্রী কিংবা মায়েদের অবস্থান অনুভব করতে পেরেছেন। যেই টার্গেট নিয়ে কাজটি করেছি সেটা পূরণ হচ্ছে—এটাই তো অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট।

%d bloggers like this: