22 February 2024 , 3:40:09 প্রিন্ট সংস্করণ
ভুল চিকিৎসায় ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মৃত্যুর ঠিক একদিন পরেই নিজেকে সামলিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান দ্য ছোট ভাই। রাফসানের দাবি, ল্যাবএইড হাসপাতালে এক জনপ্রিয় ডাক্তারের অবহেলার বলি হন তার বন্ধু রাহিব।ফেসবুকে পোস্ট করা ৫ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে এমনই এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান রাফসান।
বন্ধুকে হারিয়ে বিধ্বস্ত ও উদাস রাফসান বলেন, বিনা কারণে শুধুমাত্র ডাক্তারের অবহেলায় প্রিয়জনের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।এরপরই রাফসান বলেন, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। ওই স্ট্যাটাসে আমি জানিয়েছিলাম, আমার বন্ধু রাহিব রেজা হঠাৎ অসুস্থ হলে এন্ডোস্কোপির জন্য গিয়েছিলেন ল্যাবএইড হাসপাতালে।
হেঁটে অনেকটা সবল অবস্থাতেই ওই হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করতে গিয়েছিলেন রাহিব। দেশের একটা জনপ্রিয় ডাক্তারের কাছেই গিয়েছিলেন। ওই ডাক্তার তাকে সন্ধ্যা ৬টায় সময় দেন। তাই পরীক্ষা করার জন্য এর ১ থেকে ২ ঘণ্টা আগে না খেয়েছিল আমার বন্ধু, বলেন রাফসান।
তিনি বলেন, এ পরীক্ষাটা করার আগে একটি প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তারপর ৬টার জায়গায় ৯টায় আসেন ওই ডাক্তার। আমার বন্ধু তখনও না খাওয়া। ১০ টা ৫৫ মিনিটে ওর (রাহিব) পরীক্ষা করা হয়। তার কিছুক্ষণ পরই পুরোপুরি লাইফ সাপোর্টে চলে যায় আমার বন্ধু।এসময় রাফসান আফসোস করে বলেন, আমি ভাই ডাক্তার না। হঠাৎ কেন আমার বন্ধু লাইফ সাপোর্টে চলে গেল জানতে আমি আমার চেনা কয়েকজন ডাক্তারকে বন্ধুর সব পরীক্ষার কাগজপত্র দেখালাম।
তারা সবাই পরীক্ষার কাগজ পত্র বিশেষ করে প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট দেখে বলেন, রাহিব তো এন্ডোস্কোপি পরীক্ষার জন্য ফিট না। প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্টে তা স্পষ্ট লেখা আছে।এরপর ল্যাবএইড হাসপাতালের সেই জনপ্রিয় ডাক্তারকে বন্ধুর এমন অবস্থার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা ছোট্ট ভুল হয়ে গেছে। রাফসান জানান, ওই ডাক্তার প্রি ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট না দেখেই রাহিবের এন্ডোস্কোপি পরীক্ষা করান।
যে কারণে মাত্র ৩২ বছর বয়সেই রাহিবের জীবন প্রদীপ নিভে যায়।এত রোগীর মাঝে সব রিপোর্ট ডাক্তারের দেখা সম্ভব না বলে জানানো হয় রাফসানকে। রাফসান তাই সবার কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, যেখানে একজন রোগীর জীবন প্রদীপ নিভে যায় সেখানে ডাক্তারের এমন কারণ দর্শানো কতটা যুক্তিসঙ্গত হতে পারে?
শুধু রাফসানের বন্ধুর ক্ষেত্রেই নয়, একাধিক রোগীর ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে বলে জানা যায়, রাফসানের কমেন্ট বক্স থেকে। আরও জানা যায়, প্রায়ই দায়িত্বে ভুল করা অমানবিক ওই ডাক্তারের নাম ডা. মাহতাব স্বপ্নীল। যিনি পিজির গ্যাস্ট্রোনোলোজি ডিপার্টমেন্টের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।