3 December 2023 , 5:49:30 প্রিন্ট সংস্করণ
বর্তমানে হানিফার বাগানের সব গাছগুলোতে ফল এসেছে। সৌদি খেজুর চাষের সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কড়িরহাট এলাকার আমড়া গোহাইল গ্রামের মো. আবু হানিফা।
হজ করে ফিরে আসার সময় আজোয়া খেজুর নিয়ে আসেন তিনি। তারপর বীজ থেকে চারা তৈরি করে বাগান গড়ে তুলেন।২০১৮ সালে হজে গিয়ে আসার সময় আজোয়া খেজুর নিয়ে আসেন।
খেজুরের বিচি থেকে ১৬ চারা তৈরি করে ৯ শতক জমিতে লাগান। সেখান থেকে টেকে ১৩টি গাছ। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি গাছে প্রথম ফলন আসে।
তারপর গত ৩ মাসে সব গাছে ধরে থোকায় থোকায় খেজুর।উদ্যোক্তা আবু হানিফা বলেন, ২০১৮ সালে তিনি হজ করে সৌদি থেকে আসার সময় আজোয়া খেজুর এনে বীজগুলো সংরক্ষণ করে টবে চারা তৈরি করে।
তারপর ৯ শতক জমিতে খেজুরের বাগান করি। বর্তমানে আমার বাগানে সকল খেজুর গাছে ফল হয়েছে। পরিচর্যার পর প্রায় প্রতিটি গাছে ফল দিতে শুরু করেছে।
তাছাড়া খেজুরের বাগানের পাশাপাশি মাল্টা, আপেল কুল, বারোমাসি আম, বারি ফোর, কিউজাই, মিষ্টি তেঁতুল, কামরাঙ্গা, আলুবোখারা গাছও লাগিয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হর্টিকালচার সেন্টার বনানীর উপপরিচালক মো. আব্দুর রহিম বলেন, সৌদি খেজুর মরুভূমির ফসল। এই ফসল চাষের জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হয়।
আর এই চাষের জন্য টিস্যু কালচার পদ্ধতি জরুরি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে গাছগুলোর বেশির ভাগ স্ত্রী গাছ হবে। চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
যদিও এটা অনেক ব্যয়বহুল ও সব জায়গায় এই ব্যবস্থা নেই। তবে বগুড়ার হর্টিকালচার সেন্টারে টিস্যুকালচার পদ্ধতি চালু করার প্রায় সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে।