খেলাধুলা

টসের পর যে সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ

পুনেতে বিশ্বকাপের প্রেক্ষাপটে আজকের অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচ কেবলই নিয়মরক্ষার। অস্ট্রেলিয়ার জন্য ম্যাচটি সেমিফাইনালের ওয়ার্মআপ হলেও এটি টাইগারদের জন্য ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের লড়াই। যার জন্য বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে আটের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। অন্য দলের ওপর নির্ভরতার চেয়ে টাইগারদেরই সারতেই হবে মূল কাজটা।

ইতোমধ্যে পুনের মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং শুরু করছে বাংলাদেশ। যেখানে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা তো নেমেছেনই, একইসঙ্গে ম্যাচের ফল বিপক্ষে গেলে ব্যবধানটাও রাখতে হবে নির্দিষ্ট অঙ্কের মধ্যে।নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ ম্যাচটা বাবর আজমদের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন যেমন প্রায় ভেঙে দিয়েছে, বিপরীতে সহজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমীকরণ। বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের প্রথম আট দলকে নিয়ে ২০২৫ সালে পাকিস্তানে হওয়ার কথা আইসিসির মর্যাদাপূর্ণ আসরটি।

যেখানে সমান জয় পেলেও, ইংল্যান্ডের রানরেট বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ শেষ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড, সেখানে তারা জিততেও পারে! তাই তাদের সমীকরণের বাইরে রেখে সমীকরণ হিসাব করতে হবে।বাংলাদেশের চেয়ে রানরেটে পিছিয়ে থাকা দুই দল শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের কথা ভাবা যাক। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ করে দেশে ফিরে গেছে লঙ্কান ক্রিকেটাররা। ৯ ম্যাচ শেষে তাদের রানরেট -১.৪১৯। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের রানরেট -১.১৪১।

নেদারল্যান্ডসের যা -১.৬৩৫। অর্থাৎ নেদারল্যান্ডস যদি স্বাভাবিক কাজটা করে, অর্থাৎ ভারতের কাছে হেরে যায়, বাংলাদেশের অবস্থান বেশ সুবিধাজনক।টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামায় বাংলাদেশের সমীকরণটি হলো যদি বাংলাদেশ ৩০০ রান করে, সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া ৩২ ওভার ৩ বলের মধ্যে ম্যাচ শেষ না করলেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার ওপরে থাকবে। রানটা ২৫০ বা আশপাশে হলে ওভার নেমে আসবে ২৪ ওভার ৫ বলে। আবার ৪০০ রান করলেও সেটা হবে ৩৪.৫ ওভার।

এদিক থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ। মূল বিপদটা হতে পারে বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচের মতো টাইগার ব্যাটিংয়ে ধস নামলে! বাংলাদেশ ১০০ রানে গুটিয়ে গেলে, অস্ট্রেলিয়া ২০.৩ ওভারের আগে ম্যাচ শেষ করতে দেওয়া চলবে না। এ ছাড়া ১৫০ রান করলে অস্ট্রেলিয়া যেন ২১.২ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ না করে তা খেয়াল রাখতে হবে। এমনকি ২০০ রান করলেও ঝুঁকি থাকবে। কারণ, তখন নিরাপদ সীমাটা হবে ২২.১ ওভার।অস্ট্রেলিয়া ২২ ওভারে ২০০ তাড়া করতে পারলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে পড়বে। চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ট্র্যাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার ২৩ ওভারে ২০০ রান তুলে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছেন।

তবে এরই মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা এক দল এতটা পাগলাটে ক্রিকেট খেলবে কি না, সেটাই প্রশ্ন। তবে ব্যাটিংয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং পেসার মিচের স্টার্ক বিশ্রামে থাকায় কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারে বাংলাদেশ।বাংলাদেশের সঙ্গে দৌড়ে থাকা নেদারল্যান্ডস তাদের তুলনায় প্রায় ১৯৩ রানে পিছিয়ে। ওদিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের বাস্তব-অবাস্তব সব সমীকরণই ১৭০ থেকে ১৭৭ রানের মধ্যে। ফলে বাংলাদেশ যদি রানরেটে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে থাকে, তবে ভারতের বিপক্ষে ১ রানে হারলেও বা ম্যাচের শেষ বলে হারলেও বাংলাদেশকে তখন রানরেটে টপকাতে পারবে না নেদারল্যান্ডস।

আরও খবর

Sponsered content