এক্সক্লুসিভ

কুমারখালীতে সংবাদ সম্মেলনে লিজকৃত জলাশয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক মাছ চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা ঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সংবাদ সম্মেলন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজকৃত জলাশয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক মাছ চাষে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে এক ভূক্তভোগী নারী । তিনি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং জলাশয়ে মাছ চাষের সুব্যবস্থারও দাবী করেন।
গতকাল বেলা ১১টায় কুমারখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাজেদা পারভীন বলেন, ‘আমি থানা মহিলা দলের সভানেত্রী ও জেলা মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব পালন করছি। আমার এলাকার লিটন শেখ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলাশয় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন। মাছ চাষের শুরু থেকেই মিঠুর নেতৃত্বে আওয়ামী সন্ত্রাসী জিয়া, মালেক, জাহাঙ্গীর, নিজাম ফারুকসহ ২০/৩০ জনকে সাথে নিয়ে লিটনের কাছ থেকে জলাশয় অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে। সে সময় লিটন শেখ তাদের বিরুদ্ধে থানা এবং উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। একই এলাকায় একটি পুকুরে আমি নিজেও মাছ চাষ করাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের লোকজন পুকুরটি অবৈধভাবে দখল করে নেয়‘।
সাজেদা পারভীন লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, ৫জুলাই সরকার পতনের পর তারা আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে পুকুরটির দখল ছেড়ে দেয়। এ সময় লিটন শেখও তার লিজকৃত জলাশয় আমাকে হস্তান্তর করেন। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই পুনরায় মিঠু গং মাছ চাষে বাধা প্রদান করে। বিষয়টি কুমারখালী ও কুষ্টিয়ার বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ কুষ্টিয়ার সকল প্রশাসনিক দপ্তরে অবগত করি। একপর্যায়ে কুমারখালী থানায় একটি সালিশি বৈঠক হয়। সেখানে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের উপস্থিতিতে ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে আমার ৪০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মাত্র সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে মীমাংসা করি। অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ থাকে মিঠু গং নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে জলাশয় থেকে মাছ উত্তোলনের পর আর জলাশয়ে যাবেনা। কিন্ত পরবর্তীতে তারা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে মাছ উত্তোলন করলেও আমি জলাশয়ে মাছ ছাড়তে পারিনি। তারা পুনরায় আমার লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারধর করে। ফলে আমি কুমারখালী থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। সে মামলায় একজন আসামী গ্রেফতার হয় এবং কিছু আসামী জামিনে এসে আমার বিরুদ্ধে উল্টো ষড়যন্ত্রমূলক একটি মানববন্ধন করে। আমি এই অবৈধ মানববন্ধনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে আমাকে জলাশয়ে মাছ চাষের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা ও অপরাধীদের শাস্তি দাবী করছি‘।
ভুক্তভোগী সাজেদা পারভীন সংবাদ সম্মেলনে নিজের স্বপক্ষে বিভিন্ন কাগজপত্র ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সাবেক এমপিদের সাথে ঘনিষ্টতার ছবি প্রদর্শন করেন। এ সময় তিনি জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হুমকী ও সন্ত্রাসীদের সহযোগীতার অভিযোগ করেন। সম্মেলনে কুমারখালী ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content