জাতীয়

এবার রমজানে যত টাকা কেজিতে মিলবে গরুর মাংস

সুখবর, রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চ থেকে ঢাকায় ৩০ স্থা‌নে গরুর মাংস ৬০০ টাকা দ‌রে বি‌ক্রি করা হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শে‌ষে সাংবাদিক‌দের তিনি এ তথ্য জানান।

আব্দুর রহমান ব‌লেন, রমজান উপলক্ষে স‌াশ্রয়ী মূ‌ল্যে মাছ ও মাংস বি‌ক্রি করা হ‌বে। এর ম‌ধ্যে ঢাকার ৩০ স্থা‌নে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সে‌লের মাধ‌্যমে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে ৬০০ টাকায়, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, সলিড ব্রয়লার বিক্রি হবে ২৮০ টাকায়।তি‌নি ব‌লেন, ‘ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সায়।

কাজেই এটাই হলো আমাদের একটি অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ সেটা উদ্বোধন করা হবে।ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,‘ঢাকার বাইরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ করা হ‌য়ে‌ছে, আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

ঢাকার বা‌ইরে এ ধর‌নের কো‌নো প‌রিকল্পনা সরকা‌রের আছে কি না জান‌তে চাইলে আব্দুর রহমান ব‌লেন, ‘ঢাকায় ৩০ জায়গায় এটা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে এ ব্যাপারগুলো আরও বেশি জায়গায় প্রসারিত করার চেষ্টা করব।রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের ভূ‌মিকা নি‌য়ে মন্ত্রী ব‌লেন, ‘রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব।

এবার ডিসিরা তাদের সব সামর্থ্য নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে একমত হয়েছেন।ইলিশ সংরক্ষণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ব‌লেন, ‘জাটকা ধরার জায়গা থেকে মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনতে হবে। এটা বন্ধ হলে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মাছটি নদীতে থাকতে পারবে, ততই এর বৃদ্ধি ঘটবে।

মাছ উৎপাদন, প্রাণিসম্পদে সন্তোষজনক অবস্থায় আছেন জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, ‘এটার প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের মাথায় আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে, কারেন্টের জাল। এটা দিয়ে যত্রযত্র মাছ ধরা হয়। যেই মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি।

মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলাপ্রশাসকদের নেতৃত্ব আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘জাটকা নিধন বন্ধে কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছি। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে।

এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদের রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। কারণ, ওই সময়টাতে তাদের যদি একটা প্রণোদনা দেওয়া হয় তাহলে মাছ না ধরার কারণে তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবে।

%d bloggers like this: