বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

লন্ডন থেকে লাদাখ মেরুজ্যোতির খেলায় মত্ত পুরো বিশ্ব

লন্ডন থেকে লাদাখ মেরুজ্যোতির খেলায় মত্ত পুরো বিশ্ব

আকাশে নানা রঙের মেলা। দূরদূরান্তেও ‘মেরুজ্যোতি’র খেলা! অরোরা বোরিয়ালিস যেভাবে চেনা গণ্ডির বাইরেও ধরা দিল, তাতে সুধীন দাশগুপ্তের লেখা গানের লাইন দুটো একটু অদলবদল করে নেয়াই যায়। সৌরঝড় পৃথিবীতে ‘অতিথি’ হয়ে এলে, মেরুপ্রদেশ ও তার আশপাশের আকাশে অরোরার দেখা পাওয়া যায়। এটাই চিরায়ত নিয়ম।আলোর এই খেলার নামও বেশ বৈচিত্র্যময়। উত্তরে নাম অরোরা বোরিয়ালিস।

দক্ষিণে নাম অরোরা অস্ট্রালিস। বাংলায় বলে ‘মেরুজ্যোতি’। তবে নানা কারণে সাদার্ন লাইটের চেয়ে নর্দার্ন লাইটের জৌলুস বরাবরই বেশি। রঙের সেই খেলা দেখতে উত্তর মেরুর কাছে ছুটে যান অনেকেই। কিন্তু এবার বিরল দৃশ্য, শুধু উত্তর মেরুর কাছে নয়, অনেকটা দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকেও মেরুজ্যোতির ছটা দেখলো সবাই।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ক্যারোলাইনা, জর্জিয়ার মতো ‘দক্ষিণী’ রাজ্যগুলো মোক্ষম সাক্ষী।

ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, সুইজারল্যান্ডের একটা বড় অংশেও দেখা মিলেছে, যেখানে চট করে অরোরার উপস্থিতি নজরে পড়ে না। নেপথ্যে, বিরল এবং অতি শক্তিশালী সৌরঝড়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশনিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ২০০৩ সালের পর এই প্রথম এত শক্তিশালী সৌরঝড় হল। যাকে বলা হচ্ছে জি-ফাইভ গোত্রের জিওম্যাগনেটিক স্টর্ম।

ঝড় চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। রাত জেগে ক্যামেরাবন্দি করা অরোরার ছবি আপলোডের ঝড়। যাদের মধ্যে রয়েছেন বহু প্রবাসী বাঙালিও। যেমন, ব্রিটেনের কর্নওয়াল কাউন্টিতে থাকেন প্রবাসী বাঙালি অনুরাগ রায়। ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বেডরুমে শুয়ে অরোরা দেখতে পাব, কখনও ভাবিনি।

এবারের অরোরার সাক্ষী ভারতও। লাদাখের হ্যানলে ও লাগোয়া অঞ্চলে লেন্সবন্দি হয়েছে অরোরা। আকাশের রঙের পরিবর্তনের ‘টাইম ল্যাপস’ রেকর্ড হয়েছে হ্যানলের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অবজারভেটরিতে।