জাতীয়

বিনির্দেশ বহির্ভূত ধান-চাল-গম কিনলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

বিনির্দেশ বহির্ভূত ধান-চাল-গম কিনলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিনির্দেশ বহির্ভূত ধান, চাল ও গম যারা ক্রয় করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কৃষক গুদামে ধান নিয়ে এসে যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেটি স্থানীয় প্রশাসন, কৃষি ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে অনলাইনে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুভ উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, কৃষক গুদামে ধান নিয়ে আসার আগেই কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ধানের আর্দ্রতা ঠিক করে দেবেন। এটি করা হলে কৃষককে গুদামে ধান নিয়ে এসে ফেরত যেতে হবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষক ও মিলার উভয়ে যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেদিক বিবেচনায় নিয়ে সরকার ৩২ টাকা কেজি দরে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৪৫ কেজি দরে ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৪৪ টাকা কেজি দরে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ৩৪ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি শতভাগ বিনির্দেশ অনুসরণ করে ধান, চাল ও গম ক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহবান জানান।খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন এনডিসির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

বগুড়া প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক এবং জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক, সদর এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউসুফ আলী, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি এটিএম আমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক এবিএম আমিনুল হক দুদু, মেসার্স কিবরিয়া এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক গোলাম কিবরিয়া বাহার, রজিব অ্যান্ড ব্রাদার্স অটো রাইস মিলের মালিক রজিব উদ্দিন, কৃষক আনিছার রহমান প্রমুখ।

বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক জানান, সদর এলএসডিতে ৬০ মেট্রিক টন চাল ও তিন মেট্রিক টন ধান এবং শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা এলএসডিতে ১০০ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। জেলার অন্য উপজেলায় শীঘ্রই সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে।

বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির বলেন, উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষক ও মিলারের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রেখে জেলার লক্ষ্যমাত্রাকৃত ১১ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন ধান ও ৬১ অটোমেটিক মিল, ৯৮৯ হাস্কিং মিল মোট এক হাজার ৫০ মিলের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ৫৫ হাজার ৪৩৭ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও দুই হাজার ৬১৩ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ২১৬ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করা হবে। তিনি আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে সফলভাবে সংগ্রহ করতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।