সারা দেশ

গলা ফাঁস দিলো নাতি নানার বকা খেয়ে

গলা ফাঁস দিলো নাতি নানার বকা খেয়ে

সারাদিন কোথায় থাকিস? সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়ানো নাতিকে এ কথা বলে বকা দেন নানা। এরপর অভিমানে স্কুল ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে নাতি। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর পৌরসভার পাচ্চরে। রাতে পাচ্চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

 তিনি একই গ্রামের রিকশাচালক হাশেম শেখের ছেলে। তবে সাকিবের জন্মের দু’বছরের মাথায় তার বাবা হাশেম শেখের সঙ্গে মা আকলিমা বেগমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি পাচ্চরেই নানা মোতালেব শেখের বাড়িতে থাকতেন।জানা গেছে, একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন সাকিব। তারা দুই ভাই। বড় ভাই আকিব শেখও বাবার মতো রিকশা চালান।

আর দুই বছর আগে সাকিবের মা আকলিমা বেগম সৌদি আরবে যান। সেখানে নারী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হানিফ শেখ জানান, মাসখানেক আগে সাকিবের বিস্কুট ফ্যাক্টরিটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি সকাল থেকে সারাদিন বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির বাইরেই ঘুড়ে বেড়াতেন। দু’জন বন্ধু জুটে যায় তার, যারা মাদক সেবন করতো। এ জন্য শুক্রবার জুমার নামাজের পরে নানা মোতালেব শেখ বকাঝকা করেন নাতি সাকিবকে।

হানিফ শেখ আরো জানান, নানার বকা খেয়ে সাকিব একটি ব্যাগে কাপড়চোপড় ভরে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাতে এশা ও তারাবির নামাজের পর এলাকার ছেলেরা নির্মাণাধীন স্কুল ঘরের চিলেকোঠায় সময় কাটাতে গেলে সাকিবের লাশটি ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ফরীদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হাসানুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।এদিকে, মাগরিবের নামাজের পরে জানাজা শেষে সাকিবের লাশ ফরিদপুর ডায়বেটিক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। এরপর সৌদি আরব থেকে তার মা আসার পরে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান কাউন্সিলর হানিফ শেখ।