জাতীয়

টিকেটও নেই ফ্লাইটও ফাঁকা যে ব্যাখ্যা দিল বিমান এবার

টিকেটও নেই ফ্লাইটও ফাঁকা যে ব্যাখ্যা দিল বিমান এবার

অনলাইনে টিকেট না মিললেও ফ্লাইটে অনেক আসন ফাঁকা থাকার অভিযোগ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।বিষয়টি নিয়ে যাত্রী এবং সর্বসাধারণের মাঝে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে’ অভিযোগ করে বিমান বলেছে, এটা তাদের ‘সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস’।অনলাইনে বুক করতে গেলে টিকেট পাওয়া যায় না, অথচ দেখা যায় ফ্লাইটে অনেক সিট ফাঁকা– এমন অভিযোগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অনেক দিনের।

সেই অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন কিটন শিকদার নামে এক ব্যক্তি, যিনি ফেসবুকে নিজের পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ইতালি শাখার সাবেক সভাপতি হিসেবে।বুধবার কিটন শিকদার লন্ডনগামী একটি ফ্লাইটের ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন। সেখানে লেখেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের লন্ডন টু বাংলাদেশ ফ্লাইটের আজকের চিএ ১৩/০৩/২০২৪। (বিজি-২০২) সব সিট ফাঁকা। কিন্তু টিকেট করতে গেলে সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে এবং ফুললি বুকড ইত্যাদি দেখায়।

‘কিছু সিন্ডিকেট চোর বাটপারদের কারণে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে তথা বাংলাদেশ সরকারকে। ওদের কারণে বিমানের টিকেট মূল্য সব সময় বেশি এবং বিমানকে সারা বছর লোকসান গুনতে হয়।কিটন শিকদারের পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিমান।সেখানে বলা হয়, ‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এয়ারলাইন্স ব্যবসায় লিন/পিক মৌসুম থাকে।

পবিত্র রমজান মাসের শুরুর দিকে এবং মার্চ মাসে সাধারণত যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রী চাহিদা কম থাকে (লিন সিজন), কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীর চাহিদা থাকে (পিক সিজন)।‘বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সবগুলো ফ্লাইট আসন সংখ্যার প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইট বর্তমানে লিন সিজনের কারণে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে।

এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। বিশেষ উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল সেক্টরে গড়ে ৮৬ শতাংশ যাত্রী (কেবিন ফ্যাক্টর) ছিল।বিমান বলছে, ‘আসন খালি থাকার পরও টিকেট কিনতে গেলে বলে টিকেট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি ‘ঢালাও মনগড়া’ অভিযোগ।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল টিকেট সর্বসাধারণের নিকট বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট সম্মানিত যাত্রী যে কোনো অনুমোদিত ট্র্যাভেল এজেন্ট ছাড়াও বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ক্রয় করতে পারবেন।অন্যান্য সকল সেক্টরের ন্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা সেক্টরের সকল এয়ার টিকেটই প্রতিটি বিক্রয় মাধ্যমে বুকিং করা যায়।

কিটন শিকদারকে উদ্দেশ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতীত ছবি ও ভিডিও ধারণ করা ও উক্ত ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল যে কোনো মাধ্যমে প্রচার করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

‘অতএব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মানহানিকর ও বেআইনি তথ্য সম্বলিত কোনো পোস্ট ফেসবুক অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার না করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content