সারা দেশ

শেষ মুহুর্তে রং তুলি ও সাজসজ্জায় ফুটে উঠছে দুর্গামন্ডপ

আর মাত্র দিন চার এক পরেই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। পূঁজা উদযাপনকে ঘীরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে লালমনিরহাটের অধিকাংশ মণ্ডপ গুলোয় চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। কারিগরদের নিপুণ হাতের রং তুলি আর রং বেরঙ্গের সাজসজ্জায় ফুটিয়ে উঠছে দুর্গার পূর্ণাঙ্গ রূপ।

জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরির কাজ মোটামুটি শেষের দিকে। এখন চলছে শুধু রং দিয়ে সৌন্দর্য্য বর্ধণের কাজ। দুর্গাপূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে চলছে স্বাগতম গেট নির্মাণসহ বিভিন্ন সাজসজ্জা। প্রতিটি মণ্ডপের জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্গা সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাস, পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রতিমা।

এখন চলছে রং ও সাজসজ্জাসহ শেষ মুহু্র্তের প্রস্তুতি।শহরের কাঁচারি বাজার কেন্দ্রীয় মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে, মণ্ডপগুলোতে এখন প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিল্পীরা রং তুলির কাজে দিন রাত কঠিন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

নিপুণ হাতের রং তুলি আর সাজসজ্জায় ফুটিয়ে তুলেছে দুর্গার পূর্ণ রূপ।শহরের দেববাড়ি পুজা মন্ডপ নামে একটি মণ্ডপে কথা হয় প্রতিমা শিল্পী রমেশ পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি বছর পূঁজার তিন মাস আগে থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। এই কযেক মাস দিনরাত কাজ করতে হয়েছে তাদের। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন চলছে রং তুলির ছোঁয়া আর সাজসজ্জার কাজ।

লালমনিরহাট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হীরা লাল রায় বলেন, জেলার ৫ উপজেলায় ৪৭৩টি পন্ডপে দূর্গাপুজা উদয়াপনের প্রস্তুতি চলছে। পূজা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় এ জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। তিনি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় উৎসব পালন করা হবে বলেও তিনি জানান।লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, শীর্ঘ্রই মণ্ডপে মণ্ডপে পৌঁছে যাবে সরকারি সহায়তা। প্রতিমা তৈরি, পূজা উদযাপন এবং প্রতিমা বিসর্জনসহ দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

%d bloggers like this: