বিনোদন

আবারও আবেগ সামলে লড়াই শিল্পার

আবারও আবেগ সামলে লড়াই শিল্পার

ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রাকে ২০০৯ সালে বিয়ে করেন শিল্পা শেঠি। বছর দুয়েক আগে পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়ায় তার স্বামী রাজ। এবং দীর্ঘ সময় হাজতবাসও হয় তার। যদিও পরে জামিন পান রাজ। জেল থেকে ছাড়া পেলেও জীবনের ওই অধ্যায় ভোলেননি তিনি।

হাজতবাসের সময় শুধু নিজের লড়াইয়ের কথা ভেবে নয়, নিজের পরিবারের চিন্তাতেও অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন রাজ। এমনকি দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে সংসার করার কথাও নাকি ভেবেছিলেন শিল্পা ও রাজ। তবে সেসব করতে হয়নি।কারণ শিল্পা সব সময় ছিলেন রাজের পাশে।

তবে জেলে থাকাকালীন নিজের ৪৭তম জন্মদিনটা কাটাতে হয় তাকে। সেদিন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি রাজ।গ্রেফতার হওয়ার পর একটা লম্বা সময় ছেলে ভিয়ান কুন্দ্রকে বাবার হাজতবাসের ঘটনা লুকিয়ে রাখা হয়। পরে অবশ্য সবটাই জানতে পারে ১০ বছরের ভিয়ান।

তবে সবটা শক্ত মনে সামলেছে সে।কিন্তু বাবার ৪৭তম জন্মদিনে ধরা গলায় বাবা রাজকে ফোন করে বলে, ‘বাবা তোমাকে খুব মিস্ করছি। কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি চলে এসো।ছেলের গলা শুনে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি শিল্পার স্বামী।

রাজের কথায়, ‘আমার জন্মদিনে যখন ভিয়ানের গলা শুনি, বুঝতে পারছিলাম ওর গলা বুজে আসছে। আর জেলে নিজের আবেগ দেখালে লোকে মাথার ওপর চেপে বসে। তাই মুখে চাদর চাপা দিয়ে কেঁদেছিলাম সেদিন। আমার ছেলের কাছে আমি হিরো।

ও জানে আমার সংস্থা ওর নামে। সেখানে কোনো নোংরা কাজ হতে পারে না। গোটাটা দুঃস্বপ্নের মতো।রাজ বলেন, শিল্পা আমার পাশে না থাকলে হয়তো আমার পরিবার, সংসার সবই ভেঙে যেত। কীভাবে কঠিন এ পথ পাড়ি দিয়েছেন শিল্পা তাও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন রাজ।

অনেকের কথা শুনেও চেপে গিয়েছিলেন শিল্পা। এমনকি অনেক স্বজনের কথাও শুনতে হয়।সমাজ চারদিক থেকে বন্দি করে ফেলেছিল শিল্পার পরিবারকে। তবে আবেগ সামলে সে কঠিন সময়টা লড়াই করে গেছেন এ অভিনেত্রী।