29 January 2024 , 4:43:58 প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে বড় কোনো সংগ্রহ গড়তে পারেনি সিলেট। নির্ধারিত ওভারে চার উইকেটে ১৩৭ রান করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আল আমিন হোসেন-বিলাল খানদের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে এ দিন সুবিধা করতে পারেনি ‘হোম টিম’। এদিকে লক্ষ্য তাড়ায় ২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৯ রান করেছে সিলেট।
টস জিতে এ দিন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি। এই বিপিএলে এবারই প্রথম টস জিতে ব্যাটিং নিলো কোনো দল। যদিও ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ মিঠুন বোল্ড হয়ে ফিরে যান।
এক রান করা মিঠুনকে বোল্ড করেন বিলাল খান।ওমানের এই পেসার তিন বল পরই নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন। সাত বলে পাঁচ রান করে ফিরে যেতে হয় শান্তকে।
মাত্র আট রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে সিলেট। সেখান থেকে দলটিকে টেনে তোলেন হ্যারি টেক্টর এবং জাকির হাসান। পঞ্চাশ পেরুনো এই দুজনের জুটি ভেঙেছেন নিহাদুজ্জামান।
নিহাদের টসড আপ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৬ বলে ৩১ রান করা জাকির। তারপর রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়াচ্ছিলেন টেক্টর।
দুজনে মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। এই জুটিও ভাঙেন বিলাল। তাকে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দেন টেক্টর। ৪২ বলে ৪৫ রান করে ফিরে যান এই আইরিশ ব্যাটার।
শেষদিকে রায়ান বার্লের ২৯ বলে ৩৪ এবং আরিফুল হকের ১২ বলে ১৭ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় সিলেট। চট্টগ্রামের হয়ে ২৪ রান খরচায় তিন উইকেট নেন বিলাল।
নিহাদুজ্জামান ২৭ রান খরচায় নেন এক উইকেট। আল আমিন হোসেন চার ওভারে ২১ রান খরচা করলেও উইকেট পাননি।