বিনোদন

এবার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা হিরো আলমের

নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও হঠাৎ করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। গতকাল বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন আলোচিত এই ইউটিউবার।

তবে কী কারণে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পরও ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সে বিষয়ে কিছুই জানাননি হিরো আলম।নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলম বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করব।আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।এর আগে বগুড়া-৪ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করাসহ নানা ত্রুটির কারণে ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে এক সপ্তাহ আগে ইসিতে আপিল করেছিলেন হিরো আলম। গত রোববার শুনানি শেষে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।তার আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। হিরো আলমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান।

হিরো আলম গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।

এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন এই ইউটিউবার। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে গেলেও নির্বাচনের দিন তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। যার নিন্দা জানায় বাংলাদেশে নিযুক্ত বেশিরভাগ দেশের কূটনীতিকরা।এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন হিরো আলম।

যাচাই-বাছাইয়ের দুই দফায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে উচ্চ আদালতে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান। ওই বার সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন হিরো আলম। তবে নির্বাচনের দিন কারচুপি ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: