খেলাধুলা

ক্যাচ ছাড়ার আক্ষেপ নিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ

ক্যাচ ছাড়ার আক্ষেপ নিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ

প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয়টিতেও নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। উইকেটের সংখ্যা বাড়তে পারত আরও। ক্যাচ ছাড়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। চা বিরতি পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৮ রান। দ্বিতীয় সেশনের ২৮ ওভারে ২ উইকেটে ৯০ রান করেছে তারা।

৬৩ রানে তাইজুল ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যাওয়া কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত রয়েছেন ৬৬ রানে। টম ব্লান্ডেল খেলছেন ১ রানে।এই সেশনের শুরুর দিকে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই হেনরি নিকোলসকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। পরে ৪১ রান করা ড্যারেল মিচেলকে ফেরান তাইজুল। মিচেল অবশ্য আরও আগে ফিরতে পারতেন। কিন্তু কট বিহাইন্ডের আবেদনে রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ।

শেষ দিকে দুই প্রান্ত থেকেই দারুণ টার্ন পেয়েছেন নাঈম হাসান ও তাইজুল। বেশ কয়েকবার ব্যাটের কানা ঘেঁষে বল জমা পড়েছে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। শর্ট লেগ, সিলি পয়েন্ট, লেগ স্লিপ ফিল্ডারদেরও কেটেছে ব্যস্ত সময়।আগের ওভারের নায়ক তাইজুল ইসলাম এবার হলেন ভিলেন। ছেড়ে দিলেন কেন উইলিয়ামসনের সহজ এক ক্যাচ। বেঁচে গেলেন বরাবরই বাংলাদেশকে ভোগানো অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।

নাঈম হাসানের ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপের চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। ক্যাচ উঠে যায় মিড উইকেটে। সহজতম সুযোগটি হাতে জমাতে পারেননি তাইজুল। সে সময় ৬৩ রানে ছিলেন উইলিয়ামসন।এই ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদন থেকে বেঁচে যান নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে আম্পায়ার্স বলে টিকে যেতেন তিনি। তৃতীয় বলে ফের বাঁচেন একটুর জন্য, অল্পের জন্য ক্যাচ যায়নি লেগ স্লিপ ফিল্ডারের হাতে!

৫০ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৭ রান। উইলিয়ামসন ৬৫, টম ব্লান্ডেল ১ রানে অপরাজিত।আবারও আক্রমণে এসেই নায়ক তাইজুল ইসলাম। ড্যারেল মিচেলকে ফিরিয়ে ভাঙলেন জমে ওঠা জুটি। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি এগিয়ে খেলার চেষ্টা করেন মিচেল। টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে তিনি ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি।

উইকেটের পেছনে বল ধরেই বেলস ফেলে দেন নুরুল হাসান সোহান। বিদায়ঘণ্টা বাজে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৪১ রান করে মিচেলের। ছয় নম্বরে নেমেছেন টম ব্লান্ডেল।৪৮ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৪ রান। কেন উইলিয়ামসন অপরাজিত ৬৩ রানে।বাংলাদেশকে অনেকবার ভোগানো কেন উইলিয়ামসন দাঁড়িয়ে গেছেন আবারও। আস্থার সঙ্গে খেলে স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশ, ৭৫ বলে।

টেস্টে এটি তার ৩৪তম ফিফটি, সঙ্গে আছে ২৮টি সেঞ্চুরি।বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ টেস্টের নয় ইনিংসে এটি তার অষ্টম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস! তিন সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি পাঁচটি! ৩৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৩ উইকেটে ২৩৯। ৬০ রানে ব‍্যাট করছেন উইলিয়ামসন। ২৯ রানে ব‍্যাট করছেন ড‍্যারিল মিচেল।

শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি স্ল্যাশ করতে চাইলেন ড্যারেল মিচেল। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না। ব্যাটের ওপরের কানা ঘেঁষে বল জমা পড়ল উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয় আবেদন করলেন সঙ্গে সঙ্গে। যোগ দিলেন নুরুল হাসান সোহান ও শরিফুলও। কিন্তু তেমন জোরাল ছিল না আবেদন। আম্পায়ারও সাড়া দেননি তাতে।

পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, মিচেলের ব্যাটের কানা ছুঁয়েছে ওই বল। অর্থাৎ রিভিউ নিলে সাফল্য পেত বাংলাদেশ। সে সময় ৪ রানে ছিলেন মিচেল। ৩৫ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৯ রান। কেন উইলিয়ামসন ৩৮, মিচেল ১১ রানে অপরাজিত।৩৩তম ওভারে একশ রান পূর্ণ করেছে নিউ জিল্যান্ড। বিপরীতে তারা হারিয়েছে ৩ উইকেট।

একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলছেন কেন উইলিয়ামসন। চতুর্থ উইকেটে তার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় ড্যারেল মিচেল।দিনের প্রথম সেশনে তেমন টার্নের দেখা মেলেনি। তবে দ্বিতীয় সেশনে বেশ বড় বড় টার্নই আদায় করে নিচ্ছেন তাইজুল ইসলাম।দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নিয়েই জুটি ভাঙলেন শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হলেন হেনরি নিকোলস।

৪২ বলে ১৯ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ে ভেঙেছে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে গড়া ৫৪ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।পাঁচ নম্বরে নেমেছেন ড্যারেল মিচেল। উইলিয়ামসন খেলছেন ৩৮ রানে। ৩১.১ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৯৮ রান।দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠেছেন কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। এরই মধ্যে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেছেন ৫০ রান।

২৯ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৪ রান। উইলিয়ামসন ৩৬ ও নিকোলস ১৭ রানে খেলছেন।২ উইকেটে ৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের ব্যাটিং শুরু করেছে নিউ জিল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩৪ রান করেছেন কেন উইলিয়ামসন ও হেনরি নিকোলস। দ্রুতই এই জুটি ভাঙার জন্য মরিয়া থাকবে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরের সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে তারা ভাগাভাগি করেছে প্রথম সেশন।মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৮ রান। কেন উইলিয়ামসন ২৬, হেনরি নিকোলস ১১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা যোগ করেছেন ৩৪ রান।

দিনের প্রথম বলেই নিজেদের শেষ উইকেট হারায় বাংলাদেশ, গুটিয়ে যায় আগের দিন করা ৩১০ রানেই।পরে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুটা হয় সতর্ক-সাবধানী। টম ল্যাথাম ও ডেভন কনওয়ে মিলে কাটিয়ে দেন প্রথম ঘণ্টা। পানি বিরতির পরপরই জুটি ভাঙেন তাইজুল। সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ২১ রান করা ল্যাথাম।

৪০ বলে ১২ রান করা কনওয়ে ক্যাচ দেন সিলি পয়েন্টে। এরপর আর তেমন সুযোগ দেননি উইলিয়ামসন ও নিকোলস। বিরতির আগে দিয়ে তাইজুলের বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মারেন নিকোলস।নাঈম হাসানের হাফ ট্র্যাকার ডেলিভারি পেছনের পায়ে গিয়ে সজোরে অফ সাইডে মারলেন হেনরি নিকোলস। লাফিয়ে উঠেও বলের লাইন থেকে সরতে পারলেন না জাকির হাসান। বেশ গতি নিয়েই সেটি আঘাত হানল তার পায়ের পাতার ওপরের দিকে।

ব্যথায় কাতড়াতে কাতড়াতে মাঠেই শুয়ে পড়েন জাকির। দৌড়ে আসেন ফিজিও। মাঠেই চলে প্রাথমিক শুশ্রূষা। কিন্তু ব্যথার তীব্রতা না কমায় আর মাঠে থাকতে পারেননি জাকির। স্ট্রেচারে বসিয়ে তাকে নেওয়া হয় মাঠের বাইরে।২২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৩ রান। কেন উইলিয়ামসন ২১, হেনরি নিকোলস ৫ রানে খেলছেন।

‘বাঁহাতিটা কষ্ট করে খেলছে, কতক্ষণ আর খেলবে?’- মেহেদী হাসান মিরাজের আগের ওভার শেষ হওয়ার পর বলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বেশিক্ষণ আর খেলতে পারলেন না বাঁহাতি কনওয়ে। মিরাজের পরের ওভারেই ধরলেন ড্রেসিং রুমের পথ।অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচ করে হালকা ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মকভাবে খেলেন কনওয়ে। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় ছুঁয়ে প্যাডে লেগে চলে যায় সিলি পয়েন্টে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন।

৪০ বলে ১২ রান করেছেন কনওয়ে। চার নম্বরে নেমেছেন হেনরি নিকোলস। কেন উইলিয়ামসন খেলছেন ৮ রানে।১৬ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৬ রান।বিরতির পরপরই প্রথম সাফল্য পেল বাংলাদেশ। ত্রয়োদশ ওভারে বোলিংয়ে এসেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন তাইজুল ইসলাম। ড্রেসিং রুমে ফিরলেন টম ল্যাথাম।

তাইজুলের ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথমবার সুইপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন ল্যাথাম। এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। দুই বল পর লেগ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে আবার সুইপ খেলেন ল্যাথাম।এবার তার ব্যাটের ওপরের দিকে বল চলে যায় শর্ট ফাইন লেগে। সহজ ক্যাচ নেন নাঈম হাসান। ৩ চারে ২১ রান করে ফেরেন ল্যাথাম।

ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন। ডেভন কনওয়ে অপরাজিত ১১ রানে। ১৩ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৬ রান।দ্বিতীয় ওভারেই জোরাল আবেদন, এরপর বেশ কিছু ডেলিভারি ছুঁয়েছে ব্যাটের কানা, আশপাশ ঘেঁষে গেছে আরও কিছু বল। কিন্তু কিছুতেই কোনো কাজ হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ঘণ্টা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম পানি বিরতি পর্যন্ত ১২ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান। টম ল্যাথাম ২১, ডেভন কনওয়ে ১১ রানে অপরাজিত। দুই প্রান্ত থেকে টানা ৬ ওভার করে বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।আগের দিন করা ৯ উইকেটে ৩১০ রান নিয়ে খেলতে নেমে দিনের প্রথম বলেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউ হন শরিফুল। স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয়নি আর কোনো রান।

পরে বোলিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই ১০ রান দেন শরিফুল। এরপর অবশ্য আঁটসাঁট বোলিং করে দুই ওপেনারের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেন দুই বোলার। তবে কনওয়ে, ল্যাথামকে টলাতে পারেননি তারা। আস্থার সঙ্গে খেলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন কিউই ওপেনাররা।মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্ট্যাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ডিফেন্ড করার চেষ্টায় ব্যর্থ ডেভন কনওয়ে। বল তার প্যাডে আঘাত করতেই বাংলাদেশের ফিল্ডারদের জোরাল আবেদন। কিন্তু সাড়া দিলেন না আম্পায়ার।

বেশ কিছুক্ষণ আলোচনার পর একদম শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি প্যাডে লাগার সময় সেটি ছিল অফ স্ট্যাম্প লাইনের বাইরে। ফলে বহাল থাকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের রিভিউ।২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রান। টম ল্যাথাম ১০, কনওয়ে রানের খাতা খোলেননি।

শেষ উইকেট নিতে একদমই সময় লাগল না নিউ জিল্যান্ডের। টিম সাউদির করা দিনের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ শরিফুল ইসলাম। আগের দিনের ৩১০ রানের সঙ্গে আর কিছুই যোগ করতে পারল না বাংলাদেশ।স্ট্যাম্পের ওপর করা ডেলিভারি ডিফেন্স করার চেষ্টায় ব্যর্থ হন শরিফুল। বল তার প্যাডে আঘাত করার পর জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সফল হয় সফরকারীরা।

৩ চারে ৯ বলে ১৩ রান করেছেন শরিফুল। তাইজুল ইসলাম অপরাজিত থেকেছেন ৮ রানে।দশ মিনিটের মধ্যেই নিজেদের ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে নিউ জিল্যান্ড।শেষ উইকেট বাঁচিয়ে রেখে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং শুরু করবে বাংলাদেশ। ওপরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রথম দিনে নিজেদের প্রত্যাশা পূরণের মতো স্কোর করতে পারেনি তারা। তাই এবার স্পিনারদের দিয়ে ম্যাচে লাগাম ধরার চেষ্টা করবে স্বাগতিকরা।

মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের সৌজন্যে প্রথম দিনে বাংলাদেশ করেছে ৯ উইকেটে ৩১০ রান। বাকি দশ ব্যাটসম্যানের মধ্যে নয়জনই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। কিন্তু কেউই চল্লিশের ঘরেও যেতে পারেননি।প্রথম দিনের সফলতম বোলার নিউ জিল্যান্ডের তৃতীয় স্পিনার গ্লেন ফিলিপস। অফ স্পিনে তার শিকার ৪ উইকেট। এতে অবশ্য তার ভালো বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার দায় কোনো অংশেই কম নয়।

সিলেটের মাঠের উইকেটও প্রথম দিন করেছে স্বাভাবিক আচরণ। অসম বাউন্স বা অপ্রত্যাশিত টার্ন বলতে গেলে দেখাই যায়নি। হুট করে দুই-একটি বল নিচু হয়েছে স্রেফ। দ্বিতীয় দিনেও খুব বেশি বদলানোর কথা নয় এই উইকেট।আর ভালো উইকেট নিউ জিল্যান্ডকে অল্পে আটকে রেখে লিড নেওয়ার জন্য মোটামুটি কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে বাংলাদেশের বোলারদের।

টস জিতে ব‍্যাটিং করা বাংলাদেশ দুষতে পারে কেবল নিজেদেরই। প্রথম ৯ ব‍্যাটসম‍্যানের সবাই দুই অঙ্কে যাওয়ার পরও খুব একটা বড় হয়নি সংগ্রহ।এক সময়ে রান ছিল ৪ উইকেটে ২১০। সেখান থেকে তিনশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও ছিল। কিন্তু শেষ জুটিতে তাইজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম দলকে নিয়ে যান তিনশ রানে। রান যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিতে এই দুই জনের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮৫.১ ওভারে ৩১০ (তাইজুল ৮*, শরিফুল ১৩; সাউদি ১৪.১-২-৪৩-১, জেমিসন ১৭-৫-৫২-২, প্যাটেল ২৪-১-৭৬-২, সোধি ১৪-১-৭১-১, ফিলিপস ১৬-১-৫৩-৪)

নিউজিল‍্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫২ ওভারে ১৬৮/৪