28 November 2023 , 4:02:18 প্রিন্ট সংস্করণ
তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরতে শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হিমশৈল। গত শুক্রবার এ তথ্য জানান বিজ্ঞানীরা। আয়তনে প্রায় চার হাজার বর্গকিলোমিটারের ওই হিমশৈলকে ডাকা হয় ‘এ২৩এ’ নামে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, আয়তনে হিমশৈলটি নিউইয়র্ক শহরের সমান। এক সময় এটার ওপর সোভিয়েত গবেষণা স্টেশন ছিল।
দীর্ঘদিন হিমশৈলটি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। ওয়েডেল সাগরের তলদেশে হিমশৈলটির মূল অংশ আটকে গিয়েছিল। এখন কেন হঠাৎ সেটি আবার নড়ে সরে যেতে শুরু করেছে, তা নিয়ে এখনো গবেষণা বাকি বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।ওই হিমশৈল নড়ে ওঠার বিষয়টি প্রথম ধরা পড়ে সাম্প্রতিক স্যাটেলাইটের ছবিতে।
সেখানে দেখা যায়, ওজনে এক ট্রিলিয়ন টনের হিমশৈলটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তরের দিকে। সাগরের প্রবাহ এবং বাতাস সহায়তা করছে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের হিমবিজ্ঞানী অলিভার মার্শ জানান, ওই আকৃতির আইসবার্গকে এভাবে সরে যেতে দেখার বিষয়টি বিরল। বিজ্ঞানীরা এটির ওপর খুব নিবিড়ভাবে নজর রাখবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো হিমশৈলগুলোর মধ্যে এ২৩এ একটি। মার্শ বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হয়তো সরু হয়ে এসেছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঠে সাগরের প্রবাহে ভেসে যাওয়ার মতো অতিরিক্ত প্লবতা অর্জন করেছে।গবেষকরা বলছেন, এ২৩এ আবার দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপে আটকা পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেটি হলে তা অ্যান্টার্কটিকার জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। লাখ লাখ সিল, পেঙ্গুইন, সামুদ্রিক পাখি ওই দ্বীপে প্রজননের জন্য জড়ো হয় এবং আশপাশের পানি থেকে খাবার সংগ্রহ করে। বিশাল আকৃতির এ২৩এ-এর কারণে সেগুলো থেকে বঞ্চিত হতে পারে তারা।
২০২০ সালে আরেকটি হিমশৈল নিয়ে একই ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এ৬৮ নামের ওই হিমশৈলও বড় আকারের ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি ভেঙে ছোট ছোট টুকরো হয়ে যায়। এমনও হতে পারে এ২৩এ-এর ভাগ্যেও সেটিই ঘটবে।