জাতীয়

এবার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে আসছে মেগা প্রকল্প

সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। তবে এখন পর্যন্ত কতজন শিশু আগের কাজে ফিরে যায়নি সেই হিসাব নেই মন্ত্রণালয়ের কাছে। শিশু শ্রমিককে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম হতে ফিরিয়ে এনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে ২০০১ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে প্রকল্পের ৩য় পর্যায়ের কাজ। আগামী ডিসেম্বর মাসে ৪র্থ পর্যায়ের কাজও শেষ হচ্ছে। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে আসছে সরকারের মেগা প্রকল্প।

‘শিশুশ্রম নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহসানে এলাহী। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন- বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মনোয়ার হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন- শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী (এনডিসি), অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও সাইফ উদ্দিন আহমেদ, বিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মাহবুব-উল-আলমসহ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শ্রমসচিব বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ রয়েছে। তবে এসব কার্যক্রমের আওতায় এসেও শিশুরা পুনরায় ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে ফিরেছে কিনা তার সঠিক তথ্য নেই। দেশে ১৭ লাখ ৭৬ হাজার শিশু নানা কাজে নিয়োজিত। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৮ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত। তবে আগের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা কমেছে।
সচিব বলেন, বিশ্বজুড়ে শিশুশ্রম একটি বড় সমস্যা। ইতোমধ্যে সরকারের প্রকল্পের ৩য় পর্যায় শেষ হয়েছে। ডিসেম্বরে ৪র্থ পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পের ৫ম বা ৬ষ্ঠ পর্যায়ে না গিয়ে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম নিরসনে মেগা প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে চাই।

আশা করি খুব শিগগিরই ওই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বক্তারা বলেন, বর্তমান সভ্যতায় শিশুশ্রম মানা যায় না।? কিন্তু বিশ্বজুড়ে নানা আঙ্গিকেই শিশুশ্রম রয়ে গেছে। আর্থ সামাজিক কারণেই শিশুশ্রম বন্ধ হচ্ছে না। ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নিরসন করতে হলে এখনই নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। কাজ চলমান থাকলে লক্ষ্য অর্জনের ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।