খেলাধুলা

বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ আজ প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যখন বিশ্বকাপ খেলার জন্য ভারতে পা রাখল তখন সাকিব-মুশফিকদের লক্ষ্য ছিল ট্রফি জয় না হলেও অন্তত সেমিফাইনাল খেলা। তবে গত মাসের সাত তারিখে প্রথম ম্যাচের জয়ের পর লক্ষ্য যেখানে আরও মজবুত হওয়ার কথা সেখানে দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই লক্ষ্য থেকে আরও বিচ্যুতি ঘটেছে। টানা হারে সেমির স্বপ্ন আগেই বাদ দিতে হয়েছে লক্ষ্য এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

সেই লক্ষ্যে আজ ম্যাক্সওয়েল-ওয়ার্নারদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে জয় দিয়েই শেষ করতে চায় বাংলাদেশ।শনিবার (১১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সকাল ১১টায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে এদিন সহঅধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর টাইগারদের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা।

অজিদের সেমিফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় এই ম্যাচটি তাদের জন্য নিয়ম রক্ষার। তবুও তারা নামবে সেমির আগে নিজেদের ঝালাই করে নিতে। বিপরীতে বিদায় নিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করা।কোনো সমীকরণ না মেলাতে চাইলে ম্যাচটিতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের তালিকার আট নম্বরের মধ্যে থাকা নিশ্চিত হবে। তবে হারলেও সুযোগ থাকছে সাকিবদের, সেক্ষেত্রে গাণিতিক হিসাবটা এমন– প্রথমে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া যদি ৩৬০ রান করে, তাহলে বাংলাদেশকে অন্তত ২০০ রান করতে হবে।

যদি বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করে ২০০ রান তোলে, তাহলে অস্ট্রেলিয়াকে ওই রান তাড়া করার জন্য খেলা টেনে নিয়ে যেতে হবে অন্তত ২৩ ওভার পর্যন্ত। বিশ্বকাপ থেকে সবার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল লিটন-মুশফিকদের। যদিও তাদের শেষ ম্যাচটা হচ্ছে কিছুটা দেরিতেই। শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বাংলাদেশ জয়ের ধারায় ফিরেছিল। সেই রেশটা তারা আজও টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে ফর্মে ফেরা ও আগের ম্যাচের নায়ক নিয়মিত অধিনায়ক সাকিবকে না পাওয়াটাই বড় ফ্যাক্টর হতে পারে ম্যাচটিতে।

গতকাল (শুক্রবার) ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলেননি টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আপাতত তার লক্ষ্য কেবল অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ঘিরেই, ‘অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার হারটা আমাদের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে আমি বিষয়টা নিয়ে ভাবছি না। আমি ভাবছি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে। অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হলে আমাদের খুবই ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এখন আমাদের সব মনোযোগ সেদিকেই।’

একাদশে সাকিবের না থাকাও বড় ধাক্কা হাথুরুর কাছে। তবে বিজয়ের মতো অভিজ্ঞ কেউ বদলি হিসেবে আসাটাও বড় কিছু এই কোচের কাছে, ‘আমি নির্ভার। অধিনায়ক হারানোয় নির্ভার নই অবশ্যই। তার পরিবর্তে কাউকে পেয়ে নির্ভার। বিজয়ের মতো অভিজ্ঞ কাউকে পাওয়া স্বস্তির। যখন আপনার কাছে সাকিবের মতো ক্রিকেটার থাকবে, সে এক নম্বর অলরাউন্ডার— একজন ক্রিকেটার দুজনের কাজ করে, তাকে ছাড়া নতুন কম্বিনেশনে খেলা কঠিন।

সাকিব না থাকায় বোলিংয়ে যে শূন্যতা তৈরি হবে, সেটা একজন স্পিনার কিংবা একজন পেসার দিয়ে পূরণ করার চেষ্টা করব। ব্যাটিংয়ে সাকিবকে মিস করতে যাচ্ছি, সঙ্গে তার নেতৃত্বও। সুতরাং এটা কঠিন।অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি বলছিলেন, ‘সাকিব না থাকা অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর। কিন্তু মুশফিকুর ও মাহমুদউল্লাহ আছে। তারা অভিজ্ঞ, বিশ্বকাপে অনেক রান আছে। আমরা আশা করছি কাল দুই মেহেদি-ই (মেহেদি মিরাজ ও শেখ মেহেদি) খেলবে।

%d bloggers like this: