রাজনীতি

দল ছেড়ে নির্বাচনের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন বিএনপির হাফিজ

বিএনপি ছেড়ে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন সম্পর্কে মুখ খুলেছেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। অসুস্থার কারণে রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় আছেন এমনটা জানিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন করলে দলের সঙ্গেই নির্বাচন করব। বিএনপির সদস্য হিসেবেই রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চাই।

বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাফিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করে বেশ কিছু পরামর্শও দেন দলটির এই শীর্ষ নেতা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর জোর না দিয়ে বিকল্প উপায়ে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গত সোমবার দাবি করেন, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপি ভেঙে নতুন দল করছেন। এরপর থেকে বিএনপির এই নেতা সম্পর্কে নানা গুঞ্জন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে গতকাল তিনি কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে ফোনে কথা বললেও আজ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন ‘জেড’ ফোর্সে ছিলেন হাফিজ উদ্দিন। যুদ্ধে সাহসিকতার জন্যে তিনি বীরবিক্রম খেতাব পান। সামরিক বাহিনী থেকে অবসরের পর তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হন।হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এর মধ্যে দুইবার জাতীয় পার্টি, একবার স্বতন্ত্র এবং তিনবার বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তিনি।সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কারাগারও যেতে হয়েছে তাকে।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে এক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় ২০২০ সালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দল ভেঙে নতুন বিএনপি গড়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।