বিনোদন

আমার পোস্ট পড়ে নামাজ ধরেছেন অনেকেই বললেন প্রিয়াংকা জামান

ফেসবুকে নিজের ৯৬ হাজার ফলোয়ারকে মাঝমধ্যেই ধর্মীয় বাণী শোনান অভিনেত্রী প্রিয়াংকা জামান। তার টাইমলাইনজুড়ে রয়েছে হাদিস ও কোরআনের উদ্ধৃতি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবেও জানান শুভেচ্ছা।এসবের পাশাপাশি লাস্যময়ী কিছু ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী। কখনো ওয়েস্টার্ন, কখনো আবার খোলামেলা পোশাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উষ্ণতা ছড়ান প্রিয়াংকা।

কখনো স্বল্প বসনে আবার কখনো ধর্মীয় বাণী নিয়ে ফেসবুকে হাজির হন এই অভিনেত্রী। অর্থাৎ, একই টাইমলাইনে দুটি রূপে তাকে দেখেন নেটিজেনরা। তার মিডিয়া ও ব্যক্তিজগৎ যে আলাদা তা স্বীকার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই। বললেন, ‘মিডিয়া জগতের বাইরে আমার একটা জগৎ আছে।

ধর্ম সম্পর্কিত নিজের ফেসবুক পোস্টগুলোর বিষয়ে কালবেলাকে প্রিয়াংকা বলেন, ‘যারা ভালো, যাদের মন মানসিকতা ভালো, তারা আমাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করে। আমার পোস্ট দেখে নামাজ পড়া শুরু করেছেন এমন অনেকেই আছেন। যারা কিছুটা মন্দ মানসিকতার, তারা আমাকে সরাসরি কিছু বলে না, তবে পোস্টের মন্তব্যের ঘরে টুকটাক বলে।

কিন্তু আমি সেগুলো কেয়ার করি না। কারণ শিল্পী হওয়ার পাশাপাশি আমি একজন মুসলিম। আমি সব সময়ই কোরআন শরিফ পড়ি; যখন যেই হাদিস পড়ি, আমি সেটা সবার সঙ্গে তা শেয়ার করি। আমি নামাজ পড়ি, আমি কিছুটা ধার্মিক।এসবের পাশাপাশি ফেসবুকে তার পোস্ট করা ওয়েস্টার্ন লুকের ছবিগুলোর বিষয়ে বলেন, ‘আমি যেহেতু কোনো জব করি না, করলে হয়তো আমাকে ওই জবের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরতে হতো।

আমি কোনো বিজনেস করি না। বিজনেস করলেও নিজের ইচ্ছামতো ড্রেস পরা যায়। আমি মিডিয়াতে আছি। কাজের ক্ষেত্রে আমাকে অনেক সময় অনেক ফ্যাশনেবল ড্রেস পরতে হয়। অনেক সময় ফটোশুট করি, সেটার জন্য ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরতে হয়। কিন্তু সব কিছু আছে আমার মনের মধ্যে।

আমি যেটাই করি, যেটাই পড়ি আমার মন তো একটাই সাপোর্ট দেয়—সেটা হলো আমি মুসলিম। কাজ শেষ করে বাসায় এসে কিন্তু ঠিকই নামাজ পড়ে তারপর ঘুমাই। তাই এগুলোকে কে কীভাবে নিল সেটা আমি কানে তুলি না। সবচেয়ে বড় কথা এ নিয়ে কোনো কমেন্টই করি না আমার পোস্টে’।

%d bloggers like this: