ভিন্ন স্বাদের খবর

পচা ডিম মনে করা সেই মুরগিই এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে

ফেলে দেওয়া হচ্ছিল পচা ডিম মনে করে। আর ঠিক তখনই ছানার ডাক কানে আসে। এতে ফিরে তাকান ওই খামারের মালিক। আর তাতেই ফেলে দেওয়ার হাত থেকে রেহাই মিলে। এবার সেই মুরগিই বিশ্বের সর্বোচ্চ বয়সী হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সর্বোচ্চ বয়সের এ মুরগিটি আমেরিকার মিশিগান রাজ্যের । আর তার বয়স শুনলে যে কারও চোখ চড়কগাছে ওঠার কথা। এটির রেকর্ড অনুসারে বর্তমান বয়স ২১ বছর। আর চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রেকর্ডের সময় বয়স ছিল ২০ বছর ২৭২ দিন। যা কারও ভাবনাতে আনাও অনেক কঠিন।

বয়স নিয়ে বিস্ময় থাকলেও এটির বেঁচে থাকাটা আরও বিস্ময়। এ মুরগিটিকে ২১ বছর আগে এক মুরগির পরিত্যক্ত ও আপাতত পচা মনে করে ফেলে দিতে গিয়েছিলেন গৃহকর্মী। তিনি এটিকে একটি পুকুরে ফেলার আগে ক্ষীণ একটি চিৎকার শুনতে পান। এরপর সেই ডিমের মধ্যে জীবন্ত ছানা আবিষ্কার করে তুলে নেন। পরে এটি স্থান পায় ‘নো কিল ফার্ম’ বা হত্যানিষিদ্ধ একটি খামারে। যা এখন নাম লিখিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে।

খামারের মালিক জানান, এটি শুরুতে অন্য ছানাদের তুলনায় ছোট ছিল। অন্য মুরগির ওজন যখন এক কিলো তখন এটির ওজন ছিল এক-তৃতীয়াংশ। ফলে তিনি কল্পনাও করতে পারেননি এটি দুই দশক তাদের সাথে থাকবে। গত মে মাসে এটির জন্মদিনও উদযাপন করা হয়েছে। এটি আগের মতোই সুস্থ এবং চঞ্চল আছে।

একটা সময় পর্যন্ত নিয়মিত ডিম দিয়েছে এবং বাচ্চাও তা দিয়েছে এটি।ওই ব্যক্তি জানান, মুরগি পছন্দ করেন তার এমন এক বন্ধু গিনেস রেকর্ডের জন্য আবেদন করতে উৎসাহ দেন তাকে। এতে রাজি হয়ে তিনি আবেদন করেন। তিনি জানান, মুরগির এত বয়স প্রমাণ করা খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। কেননা একটি মুরগি সাধারণত পাঁচ থেকে আট বছর বাঁচে।

তিনি জানান, ‘আমার কাছে বন্ধু ও ভাতিজা-ভাতিজিদের সঙ্গে মুরগির কিছু ছবি ছিল। অনেক বছর আগে ওটার সঙ্গে ছবিগুলো তুলেছিল তারা। এই ছবিগুলো ছিল আমাদের বড় প্রমাণ।