10 September 2024 , 5:25:41 প্রিন্ট সংস্করণ
বর্তমান সময়ে অনেকেই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সচেতন। প্রতিদিনের খাবার ও খাবারের পুষ্টিগুণ নিয়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় এখন বেশ জনপ্রিয় চিয়া সিড। পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে চিয়া সিড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতি একে সোনার চেয়েও মূল্যবান মনে করতো।
বীজ জাতীয় যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চিয়া সিডে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক এসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।
চিয়া সিডের উপকারিতা : চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। চিয়া সিড খেলে শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। চিয়া সিড রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া চিয়া সিড শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে, গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি চুল, ত্বক ও নখ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
১। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে শক্তিশালী করে।
২। ব্লাড সুগার এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমায়।
৩। উচ্চ পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
৪।খাবারের আগ্রহ কমিয়ে দেয়, ক্ষুধা নিবারণ করে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফাইবারের ভালো উৎস হওয়ায় এর পুষ্টি উপাদান শরীরে শক্তি প্রদান করে।
৬। শরীরের পেশী বৃদ্ধি, ক্ষতি মেরামত ও পেশী পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য একটি প্রোটিনের উপাদান হচ্ছে চিয়া সিড।
৭। শর্করার মাত্রা শরীরে নিয়মিত প্রবেশের ফলে লম্বা সময় ধরে স্থিতিশীল শক্তির স্তর বজায় রাখে।
৮। কাজ করার পর ক্লান্তি দূর করতে ও স্ট্যামিনা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৯। বদহজম থেকে বাঁচায় এবং সঠিকভাবে হজম প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে।
১০। চিয়া বীজ মানব শরীরের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
১১। কাজে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও একাগ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।
১২। মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে চিয়া সিডে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
১৩। দুধের চেয়ে চিয়া সিডে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা শরীরের হাড়কে মজবুত করে হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
১৪। হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দুর করতে সাহায্য করে।
১৫। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পদার্থ শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্যায়ামের পরে পেশীর ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করে।
১৬। এই বীজ ম্যাগনেসিয়াম ও শরীরের শিথিলকরণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ট্রিপ্টোফ্যান একটি অ্যামিনো এসিড যা সেরোটোনিনে রুপান্তরিত হয় এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম : ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা যারা ব্যায়াম করেন, তারা ব্যায়ামের ১ ঘণ্টা পর চিয়া সিড খেতে পারেন। দ্রুত ওজন কমাতে খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানিতে সাধারণ তাপমাত্রায় ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তবে, যেহেতু চিয়া সিডের নিজস্ব কোনো স্বাদ নেই, তাই এটি যে কোনো শরবত বা স্মুদি, কাস্টার্ড, টকদই বা অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যায়। পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে চিয়া সিড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতি একে সোনার চেয়েও মূল্যবান মনে করতো।
বীজ জাতীয় যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চিয়া সিডে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক এসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।