31 August 2024 , 11:57:12 প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাধীনতা শব্দের আক্ষরিক বা ভাবার্থ কোনটাই বোঝার বয়স ছিল না শিশু মোঃ ইব্রাহিম জাবিরের। মাত্র ৬ বছরে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ায় ৫ আগস্টের বিজয়োল্লাসও আর পরিপূর্ণতা পায়নি তার জীবনে। উত্তরা পূর্ব থানা থেকে হঠাৎ একটি বুলেটে ছোট্ট জাবিরের সুন্দর পৃথিবী থমকে দেয়। বাবা মায়ের সাথে বিজয় উল্লাসের স্বাদ নিতে বের হয়েছিল জাবির ইব্রাহিম।
কিন্তু হায়! ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে একটি বুলেট এসে নিভিয়ে দেয় তার জীবন প্রদীপ। এখন সন্তান হারিয়ে নিঃস্ব বাবা-মার প্রত্যাশা শুধু বৈষম্যহীন এক সুন্দর বাংলাদেশের। শিশুটের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জাবির নেই। কিন্তু পুরো বাড়িজুড়ে তার স্মৃতির ছড়াছড়ি। মাত্র ৬ মাস হলো স্কুলে যাওয়া শুরু করেছিল শিশুটি।
বাসায় পরিত্যক্ত খেলনাগুলোর যেনো সারা জীবনের অভিমান হয়ে গেলো, সাইকেলটা যেনো অপেক্ষা করছে, এই বুঝি জাবির আসবে। চড়বে তার ওপরে, ভাসবে আনন্দে। এদিকে কান্না যেন থামছেই না জাবিরের মায়ের। গণ অভ্যুথ্থানের দিনে সবার ঘরে বিজয় উল্লাস হলেও জাবিরের মা ফিরেছেন শূন্য হাতে।জাবিরের মা বলেন, বুলেট আঘাত হানার পর তিনি তার ছেলেকে শুধু বলছিলেন, ‘বাবা, চোখ বন্ধ করো না’।
কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পরে ডাক্তার একটা ইনজেকশন দেয়ার পরে সেই..যে চোখ বুঝলো, জাবির আর চোখ খোলেনি। বাবার বুকও ফেটে যাচ্ছে একই আর্তনাদে। তবুও জাবিরের মৃত্যুর বিনিময়ে চান দেশের সংহতি। স্বপ্ন দেখেন সংস্কার হবে পুরনো ব্যবস্থা, গড়ে উঠবে নতুন বাংলাদেশ। আর শোকার্ত মায়ের আশা, আগামীর বাংলাদেশ হবে নিরাপদ।
যেখানে কোনো মায়ের বুক খালি হবে না। সন্তানহারা পরিবারের কাছে এখন পুরো দেশটাই যেন এখন একটা পরিবার। প্রত্যাশা করে বলেন, প্রিয়জনের রক্তে কেনা এই সম্ভাবনার যেনো অপমৃত্যু না ঘটে।