15 August 2024 , 3:10:43 প্রিন্ট সংস্করণ
সতেজ থাকতে পারফিউমের বিকল্প নেই। বিশেষ করে গরমের সময়ে। কারণ, ঘামের দুর্গন্ধ নিয়ে অন্যদের সামনে যেতে সবারই কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এর সঙ্গে নিজের অস্বস্তিবোধ তো আছেই। শুধু তাই নয়, ঘামের সময় শরীরের দুর্গন্ধ আত্মবিশ্বাস নষ্ট করার জন্যও অনেক সময় দায়ী হয়। তাই এই সময়ে সুগন্ধি ব্যবহার না করলে চলেই না। সুগন্ধি হিসেবে পারফিউম, বডি স্প্রে বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই।
গরমে এসবের ব্যবহার যেন আরও বেড়ে যায়।পারফিউম বা সুগন্ধির প্রতি মানুষের অন্যরকম আকর্ষণ কাজ করে। পারফিউমের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্বও প্রকাশ পায়। আর বিষয় যখন গরম, তখন পারফিউম হচ্ছে সতেজ আর প্রাণবন্ত থাকতে নিত্যসঙ্গী। কিন্তু সমস্যা হলো পারফিউমের সুঘ্রাণ দীর্ঘস্থায়ী করা নিয়ে। রূপসজ্জাবিষয়ক ওয়েবসাইট মেকআপডটকমের এক প্রতিবেদনে বিউটি এক্সপার্টরা কিছু টিপস দিয়েছেন পারফিউমের সুঘ্রাণ দীর্ঘসময় ধরে রাখার জন্য।
দীর্ঘক্ষণ পারফিউমের সুঘ্রাণ ধরে রাখার টিপস:
গরমের সময় পারফিউমের ঘ্রাণ খুব দ্রুত চল যায়। তাই শরীরের পালস পয়েন্টে পারফিউম নিতে হবে। এই যেমন হাতের কবজি, কানের পেছনে কিংবা গলায়। এর কারণ,পালস পয়েন্টে সব সময় রক্ত চলাচল করে আর এই অংশগুলোর তাপমাত্রা শরীরের অন্য অংশের থেকে বেশি থাকে, তাই পারফিউমের ঘ্রাণ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
পারফিউম নেয়ার জন্য সবচেয়ে আদর্শ সময় হচ্ছে গোসলের পর। কারণ, গোসল করার পর পারফিউম নিলে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। বডি স্প্রে হোক কিংবা ডিওডোরেন্ট সুগন্ধি, যেটাই ব্যবহার করুন, গোসলের পর নিতে হবে।আমরা অনেকে বাইরে যাওয়ার আগে সুগন্ধি নিয়ে বের হই। তাও আবার একদম আগমুহূর্তে। এমন করা যাবে না।
সুঘ্রাণ দীর্ঘসময় অটুট রাখতে বাইরে যাওয়ার ২০ মিনিট আগেই সুগন্ধি নিতে হবে।সুগন্ধি ব্যবহার করার আগে অনেকেই পারফিউমে বোতল ঝাঁকিয়ে নেয়। এমন করা যাবে না। এতে করে সুগন্ধির ঘ্রাণ দ্রুতি উবে যায়।সুগন্ধি ব্যবহার করার আগে শরীর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নিতে হবে। কারণ, শুষ্ক ত্বকের তুলনায় ময়েশ্চারাইজার দেয়া ত্বকে সুগন্ধি বেশি সময় স্থায়ী হয়।
আমরা অনেকেই আছি, সুগন্ধি একদম শরীরের কাছে নিয়ে স্প্রে করি। এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। কারণ, সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে এক ফুট অর্থাৎ ১২ ইঞ্চি দূর থেকে স্প্রে করতে হবে। এতে করে বেশি স্থানে পারফিউম ছড়িয়ে যাবে। তাই ঘ্রাণ সহজে উড়ে যাবে না।