লাইফ স্টাইল

কুমারখালীতে ক্লাবের সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মাহমুদ শরীফ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হোগলা গ্রামের সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশনভূক্ত শাপলা যুব সংঘ ক্লাবের সম্পত্তির কিছু অংশ জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। ২৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমারখালী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্লাবের সভাপতি রবিউল ইসলাম। এসময় সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, ১৯৮০ সালে আরএস খতিয়ান ১৩০ এবং আরএস ১০৬৫ নং দাগের ৫ শতাংশ সম্পত্তি জামাল উদ্দিনসহ তাদের চার ভাইদের নিকট থেকে শাপলা ক্লাবের নামে কেনা হয়। গত জানুয়ারি মাসে হোগলা গ্রামের রওশন, মঞ্জু ও তালেব ক্লাবের জায়গায় বালু ভরাট করতে গেলে তারা বাধা সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কুমারখালী থানায় বসে সমাধান না হওয়ায় ক্লাবের সম্পত্তি রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়। ক্লাবের এ সম্পত্তি ১৯৭৮ সালে আব্দুল করিম ও আয়েশা ওরফে আয়না নামের দু’ভাইবোনের নিকট জামাল উদ্দিনরা কিনে ১৯৮০ সালে ক্লাবের কাছে বিক্রি করেন। শাপলা ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি আব্দুল মতিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারিক মাস্টারের পক্ষে রেজিস্ট্রি করা হয় এবং এই ক্লাব ১৯৯০ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন পায়, যার রেজিস্ট্রেশন নং ৮০/৯০।
আয়েশা ওরফে আয়না মারা যাওয়ার পর ২০১৪ সালে তার উত্তরাধিকারদের নিকট থেকে হোগলা গ্রামের এস এম রওশন ক্লাবের ৫শতাংশ জমি থেকে এক পয়েন্ট ৬৬ শতাংশ অংশ জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে। ইতিমধ্যে ক্লাবের পক্ষ থেকে এই সম্পত্তির উপর আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দখলকারীরা বিভিন্ন ভাবে হুমকীও দিচ্ছে বলে সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে ভোগদখলের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ক্লাবের পক্ষে বিভিন্ন দলিলপত্র প্রদর্শন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিবুন্দ, শাপলা ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও এলাকার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।